1দৈনিক বার্তাঃ দেশের ছয় জেলায় বজ্রপাতে ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩০ জন। শনিবার মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা, চাপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ ও গাইবান্ধা জেলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলার পৃথক স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় এক কলেজছাত্রসহ তিনজন নিহত ও অন্তত ২৯ আহত হয়েছেন। সকালে মুষলধারে বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাত শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জীবননগর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে কলেজছাত্র সাদের আলী (২৪) ও কুশোডাঙ্গা গ্রামের আলী কদরের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬) নিহত হয়। এছাড়া বজ্রপাতে উপজেলার তেতুলিয়া, আশপাড়া ও কুশোডাঙ্গা গ্রামের নারী-পুরুষসহ অন্তত ২২ জন আহত হয়। তাদের জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সকালের দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের লেদু মিয়ার ছেলে কৃষক মান্দার আলী ও তার দুটি হালের বলদসহ বজ্রপাতে নিহত হয়। এছাড়া বজ্রপাতে আরো তিন জন আহত হয়।
চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, শ্যামপুর ইউনিয়নের আজগবি গ্রামে আনিসুর রহমান(৫৫), এবং বুরোরশিয়া গ্রামের মনিরুল (৩৫)। এসময় আরো ১১জন আহত হয়েছেন।
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুরে বজ্রপাতে আরেকজন মারা গেছেন। নিহত জয়নাল কাগমারী গ্রামের কালু মোল্লার ছেলে। এদিকে জেলার মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চারজন বজ্রপাতে আহত হয়েছেন।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় বজ্রপাতে আকরাম শেখ (৪৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। শনিবার বেলা ১২টার দিকে মাঠে কাজ করার বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত আকরাম শেখ চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারাশিয়া গ্রামের সাখাওয়াত শেখের ছেলে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে বজ্রপাতে স্মৃতি সাহা (৩৮) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের গৌরাঙ্গ সাহার স্ত্রী ছিলেন।
গাইবান্ধায় সদর উপজেলায় বজ্রপাতে আমেনা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিদারী ঠাকুরের ভিটা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আমেনা বেগম ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের স্ত্রী।