গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা

দৈনিক বার্তা –পবিত্র রমজানের মধ্যেও ফিলিস্তিনির গাজায় একের পর এক বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত কয়েক দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ১২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েলির এ বর্বর হামলা প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে বিশ্ববাসী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজারো মানুষ প্রতিবাদী বিক্ষোভ করেছে। ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বে শিশু হত্যা বন্ধ করতে গানে গানে প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় শিশুকিশোর সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘শিশু হত্যা বন্ধ কর’ শিরোনামে এক মানববন্ধনে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি। মানববন্ধনে বক্তারা ফিলিস্তিনে শিশুদের ওপর হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, ফিলিস্তিনসহ বিশ্বে আর কোনো দেশে শিশুকে যেন হত্যা করা না হয়। যারা শিশুদের হত্যা করে তারা মানুষ না, মানুষ হলে তারা ছোট ছোট শিশুদের হত্যা করতে পারত না। মানববন্ধনে ‘শিশু হত্যা বন্ধ কর’ স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন এবং সংগীত পরিবেশন করা হয়।

ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লন্ডনে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত ইসরায়েল দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বিক্ষোভকারী ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন। মরক্কোতে বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনির পতাকা বিক্ষোভে অংশ নেয়। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অবস্থিত ইসরায়েলের দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে বিক্ষোভকারীরা। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় ইসরায়েলবিরোধী বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, ইতালির রোম, গ্রিসে এথেন্স, ফিলিপাইনের ম্যানিলায় বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ১২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দক্ষিণ গাজায় একটি বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েক জন হতাহত হয়েছেন। এছাড়া, দির আল বালাহ এলাকায় জঙ্গি বিমানের হামলায় শহীদ হয়েছেন আরও কয়েক জন। এর আগে বেইত হানুন ও বেইত লাহিয়া শহরে ইসরাইলি হামলায় তিন জন শহীদ হন। এর মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার দখলদার এ গোষ্ঠীর হামলায় নিহত হন ৩৩ জন। শহীদদের মধ্যে অন্তত ছয়টি শিশু, চারজন নারী ও একজন ৭৫ বছরের বৃদ্ধ রয়েছেন। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং নারী ও শিশু। সম্ভাব্য স্থল অভিযান শুরুর জন্য গাজা সীমান্তে ইসরাইল ২০,০০০ সেনা মোতায়েন করেছে। হামাস নেতা হামদান সম্ভাব্য স্থল অভিযানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইসরাইল যা আশা করছে তা হবে না। অন্যদিকে, গাজার আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য মিশর সরকার সাময়িকভাবে রাফাহ ক্রসিং পয়েন্ট খুলে দিয়েছে।