sonali-bank_34128_0_136302দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮আগষ্ট: রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার চুক্তিতে প্রশ্ন দেয়া হচ্ছে বলে পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে।
জানা গেছে, আগামী শুক্রবার রাজধানীতে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এরই মাঝে পরীক্ষার্থীদের কাছে এসএম এসের মাধ্যমে উত্তরপত্র সরবরাহের পাশাপাশি প্রশ্নপত্র সরবরাহের বাণিজ্য শুরু করেছে ছাত্রলীগের একটি সিন্ডিকেট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা কলেজের এক পরীক্ষার্থী জানায়, ‘প্রশ্নপাঁসের সিন্ডিকেট থেকে বলা হচ্ছে সোনালী ব্যাংকের প্রশ্ন তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগ। ঐ বিভাগ বিজি প্রেসে প্রশ্নপত্র ছাপার কাজ করেছে। বিজি প্রেসের প্রশ্নফাঁস চক্রটি বাণিজ্যে নেমেছে। এই চক্রের সাথে ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ এবং গোপালগঞ্জের ছাত্রলীগের একটি চক্রের যোগসাজস রয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এক থেকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে লিখিত পরীক্ষার প্যাকেজ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে মোবাইলে উত্তরসহ এসএমএস দেওয়ার চুক্তি করা হচ্ছে।
ঢাকা কলেজের এক পরীক্ষার্থী জানান, রাজধানীর বেশ কয়েকটি কলেজে এসএমএসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের উত্তর পাঠানো হয়। কলেজগুলো মধ্যে রয়েছে, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, ইডেন কলেজ, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ উল্লেখ্যযোগ্য। ঐ সব কলেজে যে শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস হয় তাদের সাথে এসএমএস কনট্যাক্ট হয়।
প্রশ্নফাঁসের খবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তিতুমীর কলেজ, তেজগাঁ ও মিরপুর বাংলা কলেজের অনেক পরীক্ষার্থী টেলিফোনে দৈনিকবার্তাকে জানিয়েছেন। সোহেল নামের এক পরীক্ষার্থী ফোনে জানান, এক লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে প্রশ্ন দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে শর্ত দেয়া হয়েছে পরীক্ষার দিন পর্যন্ত তাকে অজ্ঞাত স্থানে (মোবাইল ছাড়া) থাকতে হবে। সেখানে প্রশ্ন দিয়ে আলাদাভাবে শিখানো হবে। পরীক্ষার ১০ মিনিট আগে প্রশ্নফাঁসের সিন্ডিকেট তাকে বিশেষ প্রহরায় পরীক্ষার হলে দিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধান নির্বাহী প্রদীপ কুমার দত্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে ব্যাংকের জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর স্রেফ গুজব। এসব খবরের কোনো ভিত্তি নেই। কেউ প্রশ্নপত্র সরবরাহের নামে ব্যবসা করছে এতে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত না হবার পরামর্শ দেয়া হয়।