ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া -2

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮আগষ্ট: বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, সরকার তাদের অন্যায় অপকর্ম ঢাকতেই জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালা অনুমোদন করেছে৷ এই নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও স্বার্বভৌমত্ব থাকবে না৷

জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালা বাতিল ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদানের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷ জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে৷ ব্যারিস্টার রফিকুল আরো বলেন, এরশাদ মঞ্জু হত্যা মামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে শেখ হাসিনার কাছে সব কিছু বিসর্জন দিয়েছেন৷

তিনি বলেন, জিয়াউর রহামান নয়, বরং আওয়ামী লীগ যাদের নিয়ে সরকার গঠন করেছেন তাদের অনেকেই বিভিন্নভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত৷বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী জিয়াউর রহমান’ এমন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া৷

প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি তার কি প্রমাণ আছে আপনার কাছে? যদি প্রমাণ থাকে তাহলে এত বছর কেন প্রকাশ করলেন না?

জিয়াউর রহমানকে কলঙ্কিত করতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলছেন উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনো প্রমাণ নেই,কারণ অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা৷আর যাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সরকার পরিচালনা করছেন তারাই রেশখ মুজিবুর রহমানের হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি৷

শেখ হাসিনার প্রতি অভিযোগের তীর ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে আসার অনুমতি জিয়াউর রহমানই দিয়েছিলেন,আর শেখ হাসিনা দেশে আসার কিছুদিনের মধ্যেই জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়৷

জিয়াউর রহমানকে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন,বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারি করেছিলো শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান নয়৷ বরং জিয়াউর রহমান সেই সামরিক শাসনকে প্রত্যাখান করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলো৷

জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই নীতিমালা গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরেছে৷ যদি নীতিমালা বাস্তবায়ন হয় তাহলে দেশে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার ভূ’লুন্ঠিত হবে বলেও তিনি অভিযোগ করেন৷

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন, অনির্বাচিত সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিচ্ছে৷এসময় তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যতই বুদ্ধি করুন না কেন, চিরকাল ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না৷ কারণ ইতিহাস বলে যারা চিরকাল ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে তাদের করুণ পরিণতি বরণ করে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে৷ সুতরাং চিরকাল ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করলে জনগণের আন্দোলনে মুখে বর্তমান সরকারকেও করুণ পরিণতি বরণ করে ক্ষমতা ছাড়তে হবে৷

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাসাসের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম.এ.মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ডা.আরিফুর রহমান মোল্লা, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক খালেদ এনাম মুন্না প্রমুখ৷