image_143077.0,,17829320_303,00

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৪অক্টোবর: জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) খুব দ্রম্নত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে৷ সংগঠনটি কালোবাজারে তেল বিক্রি, জোর করে অর্থ আদায় ও মুক্তিপণ থেকে মাসে লাখ লাখ ডলার সংগ্রহ করছে৷বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন৷সন্ত্রাস ও অর্থ বিষয়ক গোয়েন্দা তথ্য সংক্রানত্ম ট্রেজারি আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড কোহেন বলেছেন, আইএস চলতি বছরের গোড়ার দিকে ইরাক ও সিরিয়ায় অভিযান চালিয়ে দখলকৃত তেলৰেত্রগুলো থেকে অপরিশোধিত তেল বিক্রি করে প্রতিদিন ১০ লাখ মার্কিন ডলার আয় করছে৷

তিনি বলেন, অধিকাংশ সন্ত্রাসী সংগঠন যেভাবে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে, আইএস তাদের চেয়ে ভিন্ন সূত্র থেকে নজিরবিহীন গতিতে অর্থ সংগ্রহ করছে৷ এ কারণে আইএসআইএল নামেও পরিচিত সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রের সামনে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে৷ দেশটি জঙ্গি গোষ্ঠীটির অর্থের উত্‍স বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে৷ খবর এএফপি’র৷কোহেন বলেন, আমাদের কাছে রাতারাতি আইএসআইএল-এর ধনভা-ার শুন্য করার মতো কোন গোপন অস্ত্র নেই৷ এটা স্থায়ী লড়াই হবে এবং আমরা এই যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি৷কারনেগি এন্ডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মারওয়ান মুয়াশের বলেন, আইএস-কে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং অর্থসমৃদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷

চলতি বছরের জুন থেকে ইরাক ও সিরিয়ার বৃহত্‍ অঞ্চলের দখল নিতে থাকে আইএস৷ ইরাকি সেনাবাহিনীকে হটিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল ও বিদ্যুত্‍কেন্দ্র মসুল বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা৷ এছাড়া, ইরাকি বাহিনীর কাছ থেকে যু্ক্তরাষ্ট্রের দেয়া আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রগুলোও ছিনিয়ে নেয় আইএস যোদ্ধারা৷সিরিয়া ও ইরাকের বিশাল অংশ দখল করে নেয়া ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী দ্য ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভানত্ম (আইএসআইএল) নিজেদের দখলকৃত এলাকাকে ইসলামি খিলাফত বলে ঘোষণা দেয়৷আল-কায়েদার মতো আইএস এর অধিকাংশ তহবিলের জন্য ধনী দাতা অথবা স্টেট-স্পন্সরের ওপর নির্ভরশীল নয়৷

শুধুমাত্র দখলকৃত তেল শোধনাগারগুলো থেকে জঙ্গিরা প্রতিদিন ৫০ হাজার ব্যারেল তেল বিক্রি করতে পারে৷ তারা এগুলো তুরস্কসহ বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে বিশেষভাবে হ্রাসকৃত মূল্যে বিক্রি করছে৷কোহেন বলেন, ইরাকে কর্ুিদদের কাছেও তেল বিক্রি করা হয়েছে৷ মার্কিন প্রশাসন এই চোরাকারবারের দালালদের খোঁজে বিষয়টির ওপর অতি সাবধানে নজর রাখছে৷এছাড়াও জঙ্গি গোষ্ঠীটি এ বছর অপহরণ থেকে ২ কোটি মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে৷ তারা বিশেষত সাংবাদিক ও ইউরোপীয়দের জিম্মি করেছে৷ জঙ্গি এই সংগঠনটি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও অর্থ দাবি করছে৷ এই কাজে একটি অত্যাধুনিক অর্থ সংগ্রহকারী চক্র কাজ করছে৷জঙ্গি সংগঠনটি মেয়েদের যৌনদাসী হিসেবে বিক্রির মাধ্যমেও অর্থ আয় করছে৷সংগঠনটির বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে গণহত্যা, ধর্ষণ ও অন্যান্য ভয়াবহ অপরাধের অভিযোগ উঠেছে৷