Akram Marder

দৈনিকবার্তা- ফেনী,২৬অক্টোবর: ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহনের বিষয়ে শুনানীর তারিখ পুননির্ধারন করা হয়েছে৷ আগামী ১২ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহনের বিষয়ে পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে৷ফেনী সদর সিনিয়র বিচারিক হাকিম আলমগীর মোহাম্মদ ফারম্নকীর আদালতের জিআরও মো. আমির হোসেন জানান, গতকাল রোববার একরাম হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহনের বিষয়ে শুনানীর ধার্য তারিখ ছিল৷ হরতাল শর্তেও ফেনী কারাগারে আটক ২৯ জন আসামীকে কড়া পুলিশী প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়৷ কিন্তু চেয়ারম্যান একরাম হত্যা মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকার কারনে গতকাল মামলার কোন কার্যক্রম হয়নি৷ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহনের বিষয়ে শুনানীর জন্য আগামী ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে৷

তিনি জানান, গত ২৮ আগষ্ট চেয়ারম্যান একরাম হত্যা মামলার তদনত্ম কর্মকর্তা (আইও) আবুল কালাম আজাদ তদনত্ম শেষে ৫৬ জনের বিরম্নদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন৷ মামলার ধার্য তারিখ ছিল গত ২২ সেপ্টেম্বর৷ ওই দিন বিচারিক হাকিম অভিযোগপত্রটি গ্রহনের বিষয়ে ২৬ অক্টোবর শুনানীর জন্য ধার্য করেন৷উল্লেখ্য, গত ২০ মে বেলা ১১টার দিকে ফেনী থেকে ফুলগাজী যাওয়ার পথে শহরের একাডেমি এলাকায় সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যান একরামের গাড়ীর গতিরোধ করে তাঁকে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়ীসহ পুড়িয়ে হত্যা করে৷ এঘটনায় চেয়ারম্যান একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ও বিগত উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান একরামুল হকের মূল প্রতিদ্বন্ধি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ চেীধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীর নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনের বিরম্নদ্ধে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন৷

অভিযোগপত্র ভুক্ত আসামীদের মধ্যে পুলিশ ও র্যাব ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ কিন্তু অভিযোগপত্র ভুক্ত অন্যতম আসামী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির আদেল ও ফেনী পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল আলম মিষ্টারসহ ২৬ জন এখনো পলাতক রয়েছেন৷ প্রসঙ্গত ঃ মামলার তদনত্ম চলাকালে আরো পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল৷ কিনত্ম অভিযোগপত্রে তাদের নাম না থাকায় ওই পাঁচ জন ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন৷