sonarga-6

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭নভেম্বর: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন,বাংলাদেশি পণ্য আমেরিকায় প্রবেশে জিএসপি না দিলে টিকফা অনর্থক হয়ে দাঁড়াবে৷ তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডবিস্নউটিও) সিদ্ধানত্ম মোতাবেক এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি এবং কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করলে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পাবে৷ বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের একক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বড় বাজার৷সোমবার সোনারগাঁও হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (এ্যামচেম) এবং ঢাকাস্থ ইউনাইটেড স্টেট এ্যাম্বাসি আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ২৩ তম ইউএস ট্রেড শো-২০১৪-এর উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন৷

তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ সুবিধা দাবী করে আসছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ টিকফা স্বাক্ষর করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যনত্ম বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি এবং কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করেনি৷ গত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে ৫,৫৮৩ দশমিক ৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, একই সময়ে আমদানি করেছে ৮০১ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলার৷ সে মোতাবেক বাংলাদেশ ৪,৭৮২ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার বেশি রপ্তানি করেছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উলি্লখিত ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাংলাদেশকে প্রদান করলে সেখানে রপ্তানি আরো বাড়বে৷

তোফায়েল আহমেদ বলেন, তৈরী পোশার রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয়৷ বাংলাদেশের তৈরী উন্নতমানের পোশাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আস্থা অর্জন করেছে৷ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা অনেক৷ তৈরী পোশাকের পাশাপাশি সিরামিক, টোবােেকা, পস্নািিষ্টক সামগ্রী, টেবিল ওয়্যারেরমত পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ সুনামের সাথে রপ্তানি করে আসছে৷মন্ত্রী বলেন, সরকার ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকীর পরিকল্পনা মোতাবেক দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সমপ্রসারণের লৰ্যে রপ্তানি পণ্য ও রপ্তানি বাজার সমপ্রসারণের জন্য কাজ করে যাচেছ৷ রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করা হচেছ৷ বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশী পণ্য আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে৷

উল্লেখ্য, প্রদর্শনীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের ৭৮টি স্টল রয়েছে৷ প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যনত্ম এ প্রদর্শনী চলবে৷ মেলায় প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা৷ তবে স্কুলের নির্ধারিত পোশাক অথবা সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচয় পত্র দেখিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বিনামূল্যে প্রদর্শনীতে প্রবেশ করতে পারবে৷ আগামী বুধবার এ প্রদর্শনী শেষ হবে৷আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ-এর সভাপতি আফতাব উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা এবং আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ-এর নির্বাহি পরিচালক এ গফুর৷