muhith_tie

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ নভেম্বর: আগামী চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে৷ ২০২১ সালের পর দেশে কোনোভাবেই অতি দারিদ্র্য বলে কিছু থাকবে না৷ বেশ জোর দিয়েই এমন দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডি মিলনায়তনে দারিদ্র্যবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ দাবি করেন৷ সরকারি প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে৷সংস্থাটি ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করে৷অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, এ কথা বলার পর কেউ আমারে পাগল বললেও বলতে পারেন৷ কিন্তু আমি বলছি, ২০১৮ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবেই হবে৷অর্থমন্ত্রীর মতে, দারিদ্র্যসীমা ১৫ শতাংশের নিচে নেমে এলে সেটিকে দারিদ্র্যমুক্ত বলে দাবি করা যায়৷ তিনি বলেন, বিশ্বের কোনো দেশই একেবারে দারিদ্র্যমুক্ত নয়৷ আমাদের হিসাবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে দরিদ্র্যের হার নেমে আসবে ১৪ শতাংশে৷ তখন এটিকে দারিদ্র্যমুক্ত বলা যাবে৷

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে দারিদ্রের হার ২৫ শতাংশ৷ ৪ বছরের মধ্যে এ হার ১০ শতাংশ কমানো হবে৷ আর ১৫ শতাংশের নিচে থাকলে দারিদ্রকে দারিদ্র বলা যায় না৷ আমাদের লক্ষ্য ২০১৮ সালের মধ্যে দারিদ্র ৭ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা৷তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক বলেছে- বাংলাদেশ দারিদ্রমুক্ত হতে সময় লাগবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত৷ কিন্তু আমরা তার আগে এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারব৷ কারণ পৃথিবীতে শতভাগ দারিদ্রমুক্ত দেশ নেই৷অর্থমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ বলতে শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়৷ স্বাস্থ্যসেবাও দুর্যোগ৷ পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির স্বাস্থ্যহানি ঘটলে ওই পরিবারে দুর্যোগ নেমে আসে৷ পুরো পরিবার অসহায় হয়ে পড়ে৷ দেশে কার্যরত ২৬ হাজার এনজিও কার্যক্রমেও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী৷

অর্থমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান৷ বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা উপদেষ্টা ক্রিস্টিন ই কাইমস,বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন, এসডিএফের চেয়ারম্যান এম আই চৌধুরী প্রমুখ৷