01120

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ নভেম্বর: সংসদ কার্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিওআইপি’র অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বদা সক্রিয় রয়েছে৷তিনি মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের মিসেস আমেনা আহমদের এক প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, অবৈধ ভিওআইপি বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ স্থাপনার পর্যবেক্ষণ করার জন্য ২৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷

মন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ সালের ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র্যাব এবং বিটিআরসির যৌথ কার্যক্রমে ২৭৩টি অবৈধ ভিওআইপি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে৷ বিটিআরসি থেকে এ পর্যন্ত ৭৪টি মামলা রুজু করা হয়েছে৷ যার মধ্যে ২০টি মামলার রায় হয়েছে, কমিশনের পক্ষে রায় হয়েছে ১৮টি৷ওবায়দুল কাদের বলেন, অবৈধ ভিওআইপি- তে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরকে জরিমানাসহ ৫টি ‘পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্ক (পিএসটিএন)’ অপারেটর এবং ৩২টি ‘আইএসপি’ অপারেটরের লাইসেন্স বাতিল করেছে৷ পরবতর্ীতে সরকারের নির্দেশানুযায়ী শর্তসাপেক্ষে কয়েকটি পিএসটিএনর অপারেটর এবং আইএসপি অপারেটরকে জরিমানা করে এবং শর্তসাপেক্ষে তাদের কার্যক্রম পুনরায় চালু করার অনুমতি দেয়া হয়েছে৷

মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত অপারেটর কর্তৃক সেলফ রেগুলেশন’ প্রয়োগের মাধ্যমে ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ৯৫২টি সিম ও রিম সনাক্ত করে এগুলো বন্ধ করা হয়েছে৷তিনি বলেন, সফটওয়্যার বেসড টেকনোলজিক্যাল সিস্টেম-এর মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৪৮৭টি সিম সনাক্ত করে এগুলো বন্ধ করা হয়েছে৷ ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সনাক্ত করা সিমের সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫টি৷

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিক অন্তর্গামী কলের হিসাব পর্যবেক্ষণে ‘বিটিআরসি ইতোপূর্বে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারদের অতিরিক্ত সার্কিট বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে৷ এর ফলে অবৈধ কল টার্মিনেশন হ্রাস পাচ্ছে৷সংসদ কার্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রত্যনত্ম গ্রামাঞ্চল পর্যনত্ম সমপ্রসারণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে৷তিনি সংসদে সরকারি দলের বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন, সমপ্রতি বিটিসিএল-এর মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে ৯৩টি উপজেলার ১০৮টি ইউনিয়নকে ৮৫০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল দ্বারা সংযুক্ত করা হয়েছে৷

মন্ত্রী বলেন, ৬৪টি জেলায় ৯৮টি উপজেলার ১ হাজার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ও ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হচ্ছে, যা আগামী ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে সমাপ্ত হবে৷তিনি বলেন, চর, নদী নালা বেষ্টিত, বিদু্যত্‍বিহীন, দুর্গম এলাকার আরো ১ হাজার ৫টি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য ‘দুর্গম এলাকার ১ হাজারটি ইউনিয়ন পরিষদে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যার মাধ্যমে ১০ হাজার ৫শ’ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ও ট্রান্সমিশন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে৷

মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের সকল ইউনিয়নকে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে৷ গৃহীত কার্যক্রম ও প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন শেষে সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যনত্ম সুবিন্যসত্ম একটি অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো গড়ে উঠবে যার মাধ্যমে সরকারি বেসরকারি সকল অপারেটর সারাদেশে গ্রাম পর্যায়ে পর্যনত্ম নানাবিধ আধুনিক ও যুগোপযোগী টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি সেবা পাওয়া যাবে৷