dhormoghatদৈনিকবার্তা-মংলা, ২ জানুয়ারি: সুন্দরবন রক্ষা, মংলা-ঘাসিয়াখালী চ্যানেল দ্রুত চালু,দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা, মংলা বন্দরকে রক্ষা, সুনিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিতভাবে শ্যালা নদী সাময়িকভাবে চালুর মাধ্যমে বিপর্যসত্ম শ্রমিক ও শিল্পকে বাচানোর দাবীতে মংলায় সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন৷ শুক্রবার সকালে সংগঠনের মংলা কার্যালয়ে চত্বরে বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এ্যাসোসিয়েশনের মংলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম৷ এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো: শাহাআলম, সহ-সভাপতি ও জাহাজী শ্রমিক সংঘের সাধারণ সম্পাদক বাহারম্নল ইসলাম বাহার, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম মাস্টার প্রমুখ৷

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারীর মধ্যে শ্যালা নদী দিয়ে নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা না করা হলে ৫ জানুয়ারীর পর সারাদেশে নৌযান কর্মবিরতি সহ বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচীতে যাবে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন৷ এছাড়া মংলা-ঘাসিয়াখালী চ্যানেল চালু না হওয়া পর্যনত্ম শ্যালা নৌপথ দিয়ে নৌ চলাচলের দাবী জানান তিনি৷ এ সময় অন্যান্য বক্তারা আরো বলেন, সুন্দরবন আমাদের কেবল সৌন্দর্য্যই বর্ধন করে না এ এলাকার ভুগঠন রক্ষায়ও এ বন অত্যনত্ম প্রয়োজনীয়৷ এ বনের ক্ষতি হোক এটা কারো কাম্য হতে পারেনা৷ কোন অজ্ঞাত কারণে এক যুগেরও বেশি সম্পূর্ণ অবহেলায় মংলা-ঘাসিয়াখালী চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে গেল, এটা জানতে চাওয়া সময়ের দাবী৷ ২৩দিনেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ৫শতাধিক জাহাজ শ্যালা নদীর দুই দিকে আটকে পড়েছে৷ জাহাজগুলোতে খাবার ও গোসলের পানিসহ খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে৷ তাই অচিরেই নৌযান চলাচলের ব্যবস্থা করা না হলে ৬ জানুয়ারী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মবিরতিসহ কঠিন কর্মসূচীতে যেতে বাধ্য হবে নৌযানের শ্রমিকেরা যার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে বলে বক্তৃতায় উল্লেখ করেন নেতৃবৃন্দ৷