কুয়াকাটা

দৈনিকবার্তা-কলাপাড়া,২ জানুয়ারি:  কুয়াকাটা-কলাপাড়া-পটুয়াখালী-বরিশাল রুটের মিনিবাস মালিক  শ্রমিকদের কাছে কুয়াকাটাগামী পর্যটক-দর্শনাথর্ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে৷ যুগ ধরে এ জিম্মিদশা চলে আসছে৷ বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া যে কোন রুটের বাসে কুয়াকাটাগামী যাত্রীদের তোলা হয়৷ নামিয়ে দেয়া হয় মাঝপথে৷ কুয়াকাটায় বাসে যাওয়া এখন চরম ভোগানত্মিতে পরিণত হয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন কিংবা মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ নি৷ পর্যটক-দর্শনাথর্ীকে এমন জিম্মিদশা থেকে উদ্ধারে কোন পদৰেপ নেয়নি ৷ ফলে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক-দর্শনাথর্ী চরম নেতিবাচক ধারনা নিয়ে ফিরছে৷ তারা হারিয়ে ফেলছে কুয়াকাটায় যাওয়ার আগ্রহ৷সরেজমিনেদেখা গেছে,বরিশাল-পটুয়াখালী-ঝালকাঠী-কলাপাড়া-বরগুনার সকল বাসের সামনে স্থায়ীভাবে লেখা রয়েছে বরিশাল-কুয়াকাটা৷ প্রতি ঘন্টায় বরিশাল রম্নপাতলী বাসটার্মিনাল থেকে কুয়াকাটা, কলাপাড়া,পটুয়াখালীর বাস ছেড়ে যাচ্ছে৷ একইভাবে বরগুনা, আমতলী, তালতলী, পটুয়াখালী, বাকেরগঞ্জ, বাউফল, দুমকি, গলাচিপাসহ বিভিন্ন রম্নটের বাস চলাচল করছে৷ কুয়াকাটাগামী যাত্রীদেরকে অন্যরম্নটে চলাচলকারী শ্রমিকরা প্রতারণা করে কুয়াকাটার কথা বলে তাদের বাসে তোলে৷ পরবতর্ীতে বাউফলগামী বাসের শ্রমিকরা লেবুখালী ফেরিঘাটে নামিয়ে দেয়৷ একইভাবে পটুয়াখালীর বাসশ্রমিকরা কুয়াকাটার যাত্রীদের পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ডে, বরগুনাগামী বাসশ্রমিকরা আমতলী শহরে নামিয়ে দেয়৷ ফলে এসব যাত্রীরা ফের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেৰা করে কুয়াকাটাগামী সঠিক বাসটি পেলেও দ্বিতীয় দফায় টিকেট কেটে সিট পায় না৷ দাড়িয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ করে কলাপাড়া কিংবা কুয়াকাটায় পৌছতে হয়৷ বহু নারী পর্যটকরা পথিমধ্যে এমন প্রতারণার শিকার হয়ে ফেরত যেতে বাধ্য হয়েছে৷ নিয়ম রয়েছে যখন যে রুটে বাস চলাচল করবে তখন ঠিক ওই বাসের সামনে ওই রম্নটের নাম লেখা স্টিকার থাকবে৷ যেমন বরিশাল-কুয়াকাটা, বরিশাল-পটুয়াখালী, বরিশাল-বরগুনা, বরিশাল-বাউফল, বরিশাল-গলাচিপা, বরিশাল-মির্জাগঞ্জ৷ কিন্তু সব রম্নটের বাসের সামনে স্থায়ীভাবে লেখা রয়েছে বরিশাল-কুয়াকাটা৷ ফলে যাত্রীরা প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে৷

যাত্রী আসিফুর রহমান জানান, তিনি বরিশাল থেকে কুয়াকাটায় যাচ্ছিলেন৷ কলাপাড়া পর্যনত্ম যাওয়ার জন্য ১৫০ টাকায় টিকেট করে বাসে ওঠেন৷ আমতলী যাওয়ার পরে বোঝা গেল ওই বাসটি বরগুনায় যাবে৷ দশটি টাকা ধরিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়৷ চরম দুর্ব্যবহারের শিকার হন তিনি৷ বছরের পর বছর ধরে ্এমন জিম্মিদশা চলছে৷ শ্রমিকদের এমন হয়রাণীর প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের গালাগাল করা হয়৷ এমনকি মারধর পর্যনত্ম করা হয়৷ এমনসব প্রতারণা নৈরাজ্য বন্ধে সাধারণ যাত্রীরা বহু দেন-দরবার করেছে কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি৷ কুয়াকাটায় আসা পর্যটকের নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দে বাসচলাচল নিশ্চিত করতে প্রশাসন কোন পদৰেপ নেয়নি৷ ফলে কুয়াকাটা ভ্রমনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে সবাই৷ নাগরিক উদ্যোগ কলাপাড়ার আহ্বায়ক নাসির তালুকদার জানান, কুয়াকাটার উন্নয়নে পর্যটকদের প্রথমে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হবে৷ এব্যাপারে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন জানান, বিষয়টি নিরসনে সমিতির সদস্যভুক্ত বাস মালিকদের নোটিসের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ পটুয়াখালী বাস মালিক সমতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা দুলু জানান, এটি শ্রমিকদের একটি ব্যবসায়ীক টেকনিক৷ এটি থাকা উচিত নয়৷ যখন যে রুটে চলাচল করবে সেই রুটের স্টিকার লাগানো প্রয়োজন৷