বি চৌধুরী

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী খোলা মনে সংলাপের আহ্বান জানালে ৭ দিনের জন্য ২০ দলীয় জোট আবরোধ-হরতাল কর্মসূচি বন্ধ রাখবে বলে জানিয়েছেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি বলেন,অনতিবিলম্বে সংলাপের আহ্বান না করলে দেশে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখল করবে।বন্দুক দিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক সংকট সমাধান করা সম্ভব নয় বলেও জানান সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে চলমান রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, দেশে বর্তমানে যে সংকট চলছে সেটা জাতীয় সংকট। দিজ ইস ন্যাশনাল ক্রাইসিস। অনলি পিএম (প্রাইম মিনিস্টার) রেসপনসিবল ফর দিস। কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, এ সমস্যা সমাধানে ৩ পথ রয়েছে। আর তা হলো সংলাপ সংলাপ এবং সংলাপ। প্রধানমন্ত্রী সাহসী পিতার সাহসী সন্তান। কিন্তু তার আশেপাশের লোকজন নানাভাবে তাকে সংলাপে না বসার জন্য প্রভাবিত করছেন। কিন্তু তাকেই সাহস নিয়ে উদ্দ্যোগ নিতে হবে। কেননা, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এ দায়িত্ব শুধু তার। এছাড়া আলোচনার সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তৃতীয় কোনো অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসলে তার দায়ও তাকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশে। এখানে আমাদের সন্তানেরা থাকবে। তাই এ দেশকে আমরা বিচ্ছিন্ন হতে দিতে পারিনা। তাই সরকারকে স্বীকার করতে হবে এ সংকটকে। তারপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এর আগে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানে পৌঁছতে হবে। এক্ষেত্রে বিএনপিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

২০ দলের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় আন্দোলন আর সংলাপ একসঙ্গে চলতে পারেনা। কিন্তু আন্দোলন থামালে, যদি সরকার দাবি না মানে তবে আন্দোলন আর চাঙ্গা করা যাবে না। তাই সরকার আলোচনার উদ্যোগ নিলে আন্দোলন ৭ দিনের জন্য স্থগিত রাখা যেতে পারে।

আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমি গাজী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, শুধু ২০ দল নয়। সব দলের সঙ্গেই আলোচনা করে প্রথমে একটি ঐক্যমতের সরকার গঠন করতে হবে। তারপর আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করতে হবে। আর এ উদ্যোগ সরকারকেই নিতে হবে।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে যে সংকট চলছে, তার জন্য দায়ী সরকার। কেননা, তারা ভোটার বিহীন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে তা পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে। তাই অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার অংশ হিসেবে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার সব আয়োজন করছে। গোলটেবিল বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ড. তাহমিনা আক্তার, এমএ মামুন আহমেদ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।