বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি: আর্ন্তজাতিক মহলের ষড়যন্ত্রে সারাদেশে আন্দোলনের নামে সহিংসতা চালাচ্ছে বিএনপি-জামাত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। রোববার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার আন্দোলনে পাকিস্তান পুরোপুরি জড়িত এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি এক পাকিস্তানি নাগরিক ভারতীয় রূপিসহ ঢাকায় আটক হয়েছেন। এসব কিছু খালেদার আন্দোলনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রমাণ দেয়।

তোফায়েল বলেন, খালেদার আন্দোলনে পাকিস্তান সরাসরি সহায়তা দিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে তারা একাত্তরের পরাজয়ের প্রতশোধ নিতে চায়। একাত্তরে পরাজয়ের বদলা নিতেই পাকিস্তান বিএনপিকে সহায়তা করছে। ২০ দলের অবরোধ-হরতাল এখন তামাশায় পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে আ.লীগে এ নেতা আরো বলেন, বর্তমান হরতাল-অবরোধের নামে যা চলছে সেটা আন্দোলন নয়, এটা নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতা। দেশের পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। রাজনৈতিক সহিংসতা এবং খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান- এসবের পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সম্প্রতি এক পাকিস্তানি নাগরিক ভারতীয় রূপিসহ ঢাকায় আটক হয়েছেন। এসব কিছু খালেদার আন্দোলনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের প্রমাণ দেয়।তিনি জানান, খালেদার আন্দোলনে পাকিস্তান সরাসরি সহায়তা দিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে তারা একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান হরতাল-অবরোধের নামে যা চলছে সেটা আন্দোলন নয়। এটা নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতা। তোফায়েল আহমেদ বলেন, জঙ্গিদের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়। তাহলে বুশ লাদেনের সঙ্গেও সংলাপ করতেন। আমেরিকা আইএস ও তালেবানের সঙ্গেও সংলাপ করতো।

এ সময় অবরোধ হরতালের নামে সহিংসতার বিরুদ্ধে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্দ নাসিম বলেন, নাশকতা, সহিংসতা বিএনপি-জামাতের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তারা ২০১৩ সালেও এমন সহিংসতা-নাশকতা করেছিলো। তারাই যতোই এরমক কর্মকাণ্ড করুক না কেনো তাদের শেষ রক্ষা হবে না।এছাড়া বিএনপি-জামাতের সহিংসতার বিরুদ্ধে আগামী ২০ জানুয়ারি সারাদেশে গণমিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে ১৪ দল।নাসিম বলেন, ২০ ফেব্র“য়ারি বিকেল ৪টায় এ গণমিছিল শুরু হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে গণমিছিলটি শুরু হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্ত নে গিয়ে শেষ হবে। একইভাবে বিভাগ, জেলা, থানা, ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়াও ১৬ ফেব্র“য়ারি পূর্ব নির্ধারিত জনসভা অনুষ্ঠিত হবে উত্তরার আজমপুরে।

১৪ দলের আরো কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৭ ও ১৮ ফেব্র“য়ারি ব্যাবসায়িক ও বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে ধানমন্ডির কার্যালয়ে বৈঠক। পরবর্তীতে ২৩ ফেব্র“য়ারি রাজশাহীর কাটাখালিতে ১৪ দলের জনসভা হবে। নাসিম বলেন, বিএনপি নেত্রীর দেয়া হরতালে জনগণের সাড়া দূরের কথা, এখন তামাশায় পরিণত হয়েছে।দোকান-পাট, অফিস আদালত, স্কুল-কলেজ চলছে স্বাভাবিক নিয়মে।মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি বন্ধ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে এ নতুন কর্মসূচি দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, দানবের সঙ্গে কোনো আপোষ হতে পারে না। দানবকে নির্মূল করতে হবে।এ সময় খালেদা জিয়াকে সন্ত্রাসের রানী আখ্যা দেন ইনু।