দৈনিকবার্তা_DoinikBarta_woman

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ মার্চ: ক্ষমতায়ন ও জাতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণের পথে যে সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা রোধে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে৷কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করার জন্য উপবৃত্তির পাশাপাশি নিরাপদ আবাসন ও পরিবহনের সুবিধা প্রদান এবং চাকরিতে নিয়োগ নিশ্চিত করতে বাজেটে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি৷ তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নারীর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ, স্বাস্থ্য ও উদ্যোক্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আবশ্যক৷

মঙ্গলবার বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)আয়োজিত জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬ : নারীসমাজের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তারা৷জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বিএনপিএস নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীরের সভাপতিত্বে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএস-এর সাবেক সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. প্রতিমা পাল-মজুমদার৷ প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ইউএনওমেন এর উইমেনস ইকোনোমিকএমপাওয়ারমেন্ট -এর প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর তপতি সাহা, সিডও কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান সালমা খান ৷ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্য শওকত আলী৷ সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিভূ রঞ্জন সরকার, প্রফেসর নাজমা সিদ্দিকী, নারী মৈত্রীর নির্রাহী পরিচালক শাহিন আক্তার ডলি, মাজেদা শ্ওকত আলী, মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা, জনা গোস্বামী, ইউএনওমেন -এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সোহেল রানা , হিল উইমেন ফেডারেশনের সভাপতি চঞ্চনা চাকমা প্রমুখ৷

শওকত আলী বলেন, পানি, বিদু্যত্‍, জ্বালানির প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন৷ কিন্তু এই ক্ষেত্রগুলোতে নারীর জন্য বিশেষ পদক্ষেপ এবং নির্দিষ্ট কোটা না রাখলে নারী এই পদক্ষেপগুলোর সুযোগ সুবিধা সামান্যই ভোগ করতে পারবেন৷ তাছাড়া, নারীর বিশেষ কিছু প্রয়োজন মেটানো এবং সমস্যা দূর করার জন্য এই ক্ষেত্রগুলোতে জাতীয় বাজেটে নারীর জন্য পৃথক বরাদ্দ এবং প্রকল্প গ্রহণ করা জরুরি৷  তিনি বলেন, নারী উন্নয়নে সরকার ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন৷

ড. প্রতিমা পাল-মজুমদার মূল প্রবন্ধে বলেন, গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট হতাশাব্যঞ্জক এই কারণে যে, নারীর উন্নয়নকে দেশের মূল উন্নয়ন স্রোতধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে কেবল নারীর জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি হ্রাস করা হয়েছে, যদিও জেন্ডার সংবেদনশীল প্রকল্পের সংখ্যা এবং বরাদ্দ বৃদ্ধি হচ্ছে প্রতি অর্থবছরের বাজেটে৷ কিন্তু এখনো প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে নারী ও পুরুষের মধ্যে ব্যাপক ফারাক, যা অপসারণ করা সম্ভব৷ কেবল ভিজিডি, ভিজিএফ কিংবা ক্ষুদ্রঋণের মতো কর্মসূচির মধ্যে নারী উন্নয়ন প্রকল্প সীমাবদ্ধ রাখা নারীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে না৷ সিডও কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান সালমা খান বলেন, নারীসমাজের পক্ষ থেকে একটি জেন্ডার বাজেট মনিটরিং টিম গঠন করা যেতে পারে৷ মাতৃমৃত্যু হার রোধে মিড ওয়াইফ ট্রেনিং- এর জন্য বরাদ্দ রাখা , নারীদের জন্য শুধু ক্ষুদ্র ঋণ নয় এসএমই ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে৷