DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 6297

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৮ এপ্রিল: বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী বলেছেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা সিটি উত্তরের মেয়র প্রার্থী হিসেবে বিএনপি আমাকে সমর্থন দেবে।নতুন প্রজন্মের ভাবনা ও স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে মূলধারার রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপির সমর্থন পেলে তা বাস্তবায়ন করা আমার জন্য সহজ হবে।বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মেয়র নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিষয়টি জানান।তিনি বলেন,‘সমর্থনের ব্যাপারে বিএনপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে আমি আশাবাদি বিএনপি আমাকে সমর্থন দেবে।মাহী বি চৌধুরী বলেন, আমার দল ভিন্ন হলেও আমি শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী আদর্শের চেতনায় বিশ্বাসী। আর এ আদর্শ ও চেতনার প্রতীক হলেন বেগম খালেদা জিয়া। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়ার সমর্থন পেলে আমি সেই আদর্শ বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারবো।

জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের সমর্থন চাইলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী ও বিকল্প ধারার সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্য উল্লেখ করে তার কাছেও সমর্থন চান তিনি।মাহী বি চৌধুরী বলেন, আমি জাতীয়তাবাদের আদর্শ বিশ্বাস করি ও ধারণ করি, ভবিষ্যতেও করবো। ঘরে ঘরে জাতীয়তাবাদের সমর্থক রয়েছে, তাদের কাছ থেকে সমর্থন আশা করছি। তাদের ঐক্যের প্রতীক খালেদা জিয়ার কাছেও সমর্থন প্রত্যাশা করছি। খালেদা উত্তরের ভোটার, আমি তার কাছে ভোট চাইতেও যাব।

নিজেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনীতির আদর্শের নুসারী উল্লেখ করে মাহী বলেন, শহীদ জিয়া আমার রাজনীতির আদর্শ। তাই জাতীয়তাবাদী শক্তির কাছ থেকে আমি সমর্থন চাই।তিনি বলেন, আমি ২০ দলের কেউ নই। আব্দুল আউয়াল মিন্টু ২০ দলের প্রার্থী। সামান্য সমস্যার কারণে মিন্টু ভাইয়ের প্রার্থিতা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগে আমি এখন গিয়ে বলবো আমাকে ২০ দলের প্রার্থী করেন, এতটা রূঢ় হতে পারবো না।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহী বলেন, সমর্থন পাওয়ার জন্য খালেদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। তবে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় দলের অনেক সিনিয়র নেতা আমাকে নির্বাচন করতে বলেছেন। আবার অনেকে ভিন্নমতও পোষণ করেছেন।নির্বাচনে জয়ী হলে কয়েক ধাপে ঢাকাকে সাজানোর পরিকল্পনার কথাও জানান মাহী। প্রথম একশ’ দিন, এক বছর, তারপরে আড়াই বছরের কর্মসূচি নির্ধারণ করে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।

তিনি বলেন, খালেদা নতুন ধারার রাজনীতি উপহার দিতে চান। তানেিণ্যর ভাবনাকে যদি তিনি গুরুত্ব দেন তাহলে এটা মাইলফলক হবে।মাহী আরও বলেন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, গণতান্ত্রিক নির্বাচন, দায়িত্ব গ্রহণের পর সময়মতো অঙ্গীকারগুলো পূরণ করলেই প্রজন্ম শহর পাওয়া যাবে। ২০ দল বা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থী হওয়া সম্পর্কে তিনি জানান, নিজেকে ২০ দলের প্রার্থী হিসেবে নয়, তারুণ্যের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান। কে কোন রাজনীতি বা সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত সেটা বড় বিষয় নয় উল্লেখ করে মাহী বলেন, আমরা একটা নির্দিষ্ট দল নির্ভর রাজনীতি করতে চাই না। যেখানে সবাই মত প্রকাশ করতে পারবেন সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করতে চাই।সংবাদ সম্মলেন আরও ছিলেন সারোয়ার মোর্শেদ, জুবরান গাজী, সিম্ফনা মোস্তাফিজসহ অনেক।