11.+Pm

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ এপ্রিল: ইয়েমেনের লড়াই আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি। বুধবার ওয়াশিংটন সফররত ইরাকি প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যত শিগগির সম্ভব এই সংঘাত বন্ধ করতে চাই।তিনি আরও বলেন, ইয়েমেনে হামলা চালানো থেকে সৌদি আরবকে বিরত করা কঠিন হতে পারে।”মঙ্গলবার আবাদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদিকে দেশত্যাগে বাধ্য করে রাজধানী সানাসহ প্রায় পুরো ইয়েমেন দখল করে নিয়েছে ইরানপন্থি শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা। এই বিদ্রোহীদের দমন করতে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে ইয়েমেনে বিমান হামলা পরিচালনা করছে হাদিকে সমর্থন করা সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলো। দেশ ত্যাগ করে সৌদি রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নিয়েছেন হাদি।

ইয়েমেনে শান্তি স্থাপনে ইরানি প্রচেষ্টা সম্পর্কে আবাদি বলেন, এই প্রশাসনের (ওবামা) সঙ্গে কথা বলে আমি যা বুঝেছি, সৌদিরা এই বিষয়ে আশাবাদী নয়। তারা এখন অস্ত্র-বিরতি চায় না।ওবামা তার উদ্বেগের সঙ্গে একমত হয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন একমত হয়েছিল।তিনি বলেন, এটি (ইয়েমেনের লড়াই) পুরো অঞ্চলকে আরেকটি সংঘাতে জড়িয়ে ফেলতে পারে। এই অঞ্চলে আর একটি সাম্প্রদায়িক লড়াই আমরা চাই না।

এদিকে,ইয়েমেনের দ্বিতীয় যুদ্ধক্ষেত্র নগরী এডেনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে তৃতীয় তায়েজ নগরীতেও যুদ্ধের ব্যাপকতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার কর্মকর্তারা একথা জানান।প্রাদেশিক কর্মকর্তা আবেদ্রাবো আল- মিহওয়ালি জানান, ইয়েমেনের বৃহত্তম বিমান ঘাঁটি আল-আনাদ থেকে বের হয়ে আসা গাড়ি বহরে গতরাতে বিমান হামলায় কমপক্ষে ২০ বিদ্রোহী নিহত এবং দু’টি ট্যাংক ও চারটি সাজোয়াঁ গাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।ইয়েমেনে আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধে এ বিমান ঘাঁটিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং গত মাসে বিদ্রোহীরা অগ্রসর হওয়ায় পশ্চিমা সৈন্যরা সেখান থেকে সরে আসে। এতে সেখানে এক ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হওয়ায় জিহাদিরা এটাকে তাদের বড় ধরনের সফলতা বলে দাবি করছে।তায়েজেও বিমান হামলায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। এদিকে নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আবেদ্রাবো মনসুর হাদির অনুগত সৈন্যরা হুতি শিয়া বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জোরদার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।সামরিক সূত্র ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, নিহতদের মধ্যে তিনজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। বাড়িতে গোলার আঘাতে তারা নিহত হয়।