patience

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ এপ্রিলঃ  ইসলাম সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়।  প্রিয়জনের মৃত্যুতে কেউ যাতে  ধৈর্যহারা না হয় এটিই ইসলামের শিক্ষা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহতায়ালা যা নিয়ে গেছেন তা তাঁরই, আর যা কিছু দিয়েছেন তাও তাঁরই। তাঁর কাছে প্রত্যেক বস্তুর একটা নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কাজেই ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহর কাছে পুরস্কারের আশা করা উচিত।” (বোখারি, মুসলিম)

হজরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রা.) এর পুত্র ইন্তেকাল করলে নবী করীম (সা.) তার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে এভাবে পত্র লিখেছিলেন, আল্লাহ রাহ্মানুর রাহিম-এর নামে আল্লাহর রসুল মুহাম্মদ (সা.) এর পক্ষ থেকে মুয়ায বিন জাবালের কাছে। তোমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আমি তোমার কাছে আল্লাহতায়ালার প্রশংসা লিখে প্রেরণ করছি, যিনি ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নেই। আল্লাহ তোমার সওয়াব ও প্রতিদান আরও বৃদ্ধি করে দিন এবং তোমার অন্তরে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করুন। আর আমাকে এবং তোমাকে শোকর আদায় করার তৌফিক দিন। নিঃসন্দেহে আমাদের জানমাল, ধনদৌলত, বাড়িঘর, পরিবার-পরিজন সব কিছু আল্লাহর দান। এসব দান অস্থায়ীভাবে তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। আমরা এ থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা পর্যন্ত উপকৃত হই। এই নির্দিষ্ট সময়সীমার পর আল্লাহতায়ালা তা আবার তাঁর কাছে ফিরিয়ে নেন। তিনি যখন এসব কিছু আমাদের দান করেন, তখন তার শোকর আদায় করা আমাদের জন্য অপরিহার্য। আর যখন তিনি পরীক্ষা করেন, তখন ধৈর্য ধারণ করাও আমাদের জন্য অপরিহার্য। তোমার ছেলেটি নিঃসন্দেহে আল্লাহর একটি নিয়ামত ছিল। যা তুমি বিনা শ্রমেই পেয়েছিলে। আর এটি তোমার কাছে গচ্ছিত রাখা একটি আমানত ছিল। তিনি তোমাদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে উপকৃত হওয়ারও সুযোগ দিয়েছিলেন। সুতরাং তোমার থেকে তিনি তাঁর আমানত নিয়ে নিয়েছেন এবং বিনিময়ে অগণিত সওয়াবও দিয়েছেন। যদি তুমি তাঁর সওয়াবের আশা পোষণ কর তাহলে তোমার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। এখন সামান্য অধৈর্য হয়ে তোমার সমুদয় সওয়াব নষ্ট করা উচিত নয়। সুতরাং ধৈর্যের রশি দৃঢ়তার সঙ্গে অাঁকড়ে ধর। স্মরণ রাখবে যে, তোমরা অধৈর্য হলে ওই শিশু আর ফিরে আসবে না। ‘যা হওয়ার তাই হয়েছে’ এ কথা মনে রাখলেই তোমাদের দুঃখ যন্ত্রণা ও মনের কষ্ট দূর হতে পারে। মা-আস্সালাম।

Niamotullah PPHAFEZ MAWLANA NEAMOTULLAH