এফবিসিসিআই-এর_লোগো.svg

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৯ মে: ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র ভোটার তালিকায় ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছে দেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন।একই সঙ্গে তালিকা থেকে ভুয়া ভোটার বাদ দেওয়ার জন্য সংগঠনের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু একটি মামলাও দায়ের করেন।গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রির্চাজ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২৩ মে এফবিসিসিআই’র নির্বাচনে প্রকৃত ব্যবসায়ী ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবার কথা। কিন্তু অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে সহজে জয়লাভের আশায় এফবিসিসিআই’র নির্বাহী কমিটির সহযোগিতায় একটি প্রতারক ও জালিয়াত চক্র কৌশলে বেশ কয়জন ভুয়া ভোটারকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।গত ৪ মে ভুয়া ভোটারদের নাম এফবিসিসিআই’র ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আর্বিট্রেশন মামলা দায়ের করেছেন। আর্বিট্রেশন মামলা নং- ২৬/২০১৫। আর ওই মামলাটি দায়ের করেন, বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু।তিনি জানান, এবার ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে সহজে নির্বাচিত হবার উদ্দেশে ওই চক্রটি এফবিসিসিআই’র সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তিদেরকে এফবিসিসিআই’র নির্বাচনে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন, এবার মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন থেকে বহিস্কৃত সদস্যদের এফবিসিসিআই’র ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।এরমধ্যে শফিকুর রহমান ভোটার নং- ৯১৯,বহিষ্কৃত। বাকি সদস্যরা এসোসিয়েশনের সাথে সম্পৃক্ত নেই মাহাবুবা খন্দকার- ভোটার নং- ৯২০, জিয়া উদ্দিন ভোটার নং- ৯২২, রোকসানা আমিন।তিনি বলেন, তার করা মামলাটি আগামী সপ্তাহে এফবিসিসিআই’র বোর্ড রুমে শুনানির তালিকায় রয়েছে। এফবিসিসিআই’র নির্বাচনে একাধিক প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। ওইসব প্যানেলের নেতাদের সহযোগিতা থাকতে পারে বলে অনেকে সন্দেহ করছেন। মামলার শুনানিতেই বেরিয়ে আসবে কারা ওই ভুয়া ভোটারের পক্ষ আর কারা বিপক্ষে রয়েছেন।