1410873601

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ মে: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি- তারা এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।তিনি বলেন,জীবন বাজি রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের উন্নয়ন করছেন। কিন্তু যারা ষড়যন্ত্রকারী- তারা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কৃষক লীগের উদ্যোগে বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাকাওয়াত হোসেন সুইট প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আমির হোসেন আমু বলেন,ষড়যন্ত্রকারী ও চক্রান্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম ও রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা চালাতে হবে। তাদের রাজনৈতিক বিদায় জানাতে হবে। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হবে হবে।বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার রাজনীতি দেশের মানুষের স্বার্থে নয়, কারণ আপনার পাশে যারা আছে- তারা স্বাধীনতাবিরোধী। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনী তাদের যে শিক্ষা দিয়েছে, সে শিক্ষা দীক্ষা নিয়েই তারা এগুচ্ছে।

জনাব আমু বলেন, বিএনপি কথায় কথায় আওয়ামী লীগকে বলে ভারতের দালাল। অথচ স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের পরে তারা আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন না জানিয়ে ভারতকে জানিয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্যই ।তিনি বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসে বলেছিলেন, স্বৈরশাসন চিরবিদায় নিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ মৌলিক অধিকার ফিরে পেয়েছে। শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে স্বৈরশাসনের বিদায় হতো না।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার চেতনা মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। জিয়া ‘হ্যাঁ-না’ ভোটের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা বৈধ করে নেন। তিনি সংবিধান সংশোধন করে সামরিক ক্ষমতার বৈধতা প্রদান করেন, যা ছিল সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।