england

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৪ জুন: সিরিজের একমাত্র টোয়েন্টি২০ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৫৬ রানে হারিয়ে এ্যাশেজ সিরিজের আগে নিজেদের প্রস্তুতিটা বেশ ভালভাবেই ঝালিয়ে নিল ইংল্যান্ড।ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং থেকে নিউজিল্যান্ডকে ১৯২ রানে জয় লক্ষ্য বেঁধে দেয় ইংল্যান্ড। জবাবে সফরকারী নিউজিল্যান্ড ইনিংসের মাঝামাঝিতে মাত্র ১২ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬.২ ওভারে ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায়।ইংল্যান্ডের জন্য এই সিরিজটি ঐতিহ্যবাহী এ্যাশেজকে সামনে রেখে প্রস্তুতির পাশাপাশি মান রক্ষারও লড়াই ছিল। যাতে তারা ভালভাবেই উতরে গেছে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ভাগাভাগি করলেও ওয়ানডে সিরিজে পিছিয়ে থেকেও ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় ইংলিশরা।

আগামী ৮ জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কার্ডিফে প্রথম টেস্ট শুরু হচ্ছে। এ ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হওয়া বাাঁহাতি পেসার ডেভিড উইলি এবং ফাস্ট বোলার মার্ক উড নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। দুজনেই তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ধ্বস নামান। উইলি ২.২ ওভারে ২২ রানে তিনটি এবং উড ৩ ওভারে ২৬ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট। স্বাগতিকদের সাত উইকেটে ১৯১ রানের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের জো রুট।

সাদা বলে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এউইন মরগ্যান বলেছেন, বিশ্বকাপের হতাশাজনক পারফরমেন্সের পরে এই সিরিজ জয় দারুন এক স্বস্তি এনে দিয়েছে। এখানে আমরা ওয়ানডে এবং টি২০ সিরিজ জিতেছি। এর মাধ্যমে আবারো খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে।নিউজিল্যান্ডে ইনিংসের মাঝামাঝিতে ৫ উইকেটে ১০১ রান সংগ্রহ করে বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ইংল্যান্ডের বোলারদের তোপের মুখে ব্ল্যাক ক্যাপসরা খুব বেশীদুর যেতে পারেনি। ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বলেছেন, আমি মনে করেছিলাম ১৯০ রান কিছুটা বেশী হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালই হয়েছিল। শেষের দিকে সত্যিকার অর্থেই আমরা ব্যাটিংয়ে অপেশাদারীত্ব দেখিয়েছি। পুরো কৃতিত্ব ইংল্যান্ডের, আগামীতে তাদের সামনে যে সিরিজ অপেক্ষা করছে সেজন্য তাদেরকে শুভকামনা জানাচ্ছি।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন কেন উইলিয়ামসন। ৩৭ বলে ৮টি বাউন্ডারির সহায়তায় ওয়ান ডাউনে নামা এই ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে এসেছে ৫৭ রান। কিন্তু মূলত ১৫তম ওভারেই কিউইদের জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। এই ওভারে পেসার উডের বলে তিন উইকেট হারায় কিউইরা। মিশেল সান্টনার (৯) উডের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলে দুই বল পরে উইলিয়ামসন কভারে ফিল্ডিংয়ে থাকা উইলির দূর্দান্ত হিটে রান আউট হন। পরের বলেই গোল্ডেন ডাকের শিকার হন টিম সাউদি। মিড অফে ইংলিশ অধিনায়ক মরগানের ক্যাচে তাকে ফিরে যেতে হয়েছে। সাউদির উইকেটের পরে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ছিল ৮ উইকেটে ১৩১ রান। কিন্তু শেষ কাজটুকু সেড়েছেন উইলি। পরপর দুই বলে তিনি একে একে ন্যাথান ম্যাককালাম এবং মিশেল ম্যাকক্লেনেঘানকে তুলে নিলে ইংল্যান্ড ৫৬ রানের জয় নিশ্চিত করে।সম্ভবত ইংল্যান্ডে খেলা নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ম্যাককালাম ১৫ বলে ৪টি ওভার বাউন্ডারি ও ২টি বাউন্ডারির সহায়তায় দ্রুতগতিতে ৩৫ রান সংগ্রহ করেন।