images

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ জুলাই ২০১৫: খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম নিয়ে পত্রিকায় যেসব খবর ছাপা হচ্ছে তার কোন ভিত্তি নেই৷তিনি মঙ্গলবার সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন৷মন্ত্রী বলেন, ‘বি’ নির্দেশে যে প্যারামিটার দেয়া ছিলো পরবর্তীতে আনত্মর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে সেই গম আমদানি করা হয়েছে৷ যখন বলা হলো- গম খারাপ, পচা, নিম্নমানের, তখন জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সিলগালা করা অবস্থায় আবার নমুনা গ্রহণ করা হয়৷ সেই নমুনা আমাদের খাদ্য অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরি, সায়েন্স ল্যাবরেটরিসহ বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা করা হয়৷ পরীক্ষায় দেখা যায়, দীর্ঘ ৪/৫ মাস পার হয়ে গেলেও দেখা যায় গমের গুণগত মান নষ্ট হয়নি, ঠিক রয়েছে৷

কামরুল ইসলাম বলেন, পত্র-পত্রিকার নিউজ এসেছে এই গম পচা, নিম্নমানের৷ আসলে এর কোন ভিত্তি নেই৷ ২ লাখ মেট্রিক টন গম এসেছিলো৷ এরমধ্যে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৫ টন গম ৩০ জুন পর্যনত্ম বিলি হয়ে গেছে৷ আর মাত্র ২৫ হাজার মেট্রিক টন গম রয়েছে৷ বিলি হওয়ার পর এই চার মাসে কোন অস্বসত্মিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি৷তিনি বলেন, ‘সরকারকে বিব্রত অবস্থায় ফেলতে এবং আমাকে হেয় করতে একশ্রেণীর পত্রিকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করছে৷ এ ছাড়া যেসব ছবি দেখানো হচ্ছে সেই ছবির সঙ্গে আমদানী করা গমের কোন মিল নেই৷ ব্রাজিলের গম আসলে দেখতে খারাপ, তবে গুণগত মান ঠিক রয়েছে৷

মন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্যরা গুদামে গম প্রবেশে বাধা দিচ্ছে বলে কুষ্টিয়া কুমারখালির এক সংসদ সদস্যের বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি নিজেই একটি টিভি চ্যানেলে বলেছেন, গম সম্পর্কে যে কথা বলেছিলাম তা সঠিক নয়৷ উপজেলা চেয়াম্যানের সঙ্গে একটা প্রজেক্টের বিরোধের জের ধরে গম নিয়ে নাটকীয়তার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল৷ পত্র-পত্রিকায়ও নিউজ এসেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বে এ বিরোধ৷তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট, অধিদপ্তরের রিপোর্ট, ঢাবি পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট জমা দেয়া হয়েছে৷ আমদানি করার ক্ষেত্রে প্রি-ফিটমেন্ট সার্টিফিকেট আসে৷ প্রি-ফিটমেন্ট সার্টিফিকেটও বলেছে খাবার উপযোগী৷ এ গম নিয়ে হাইকোর্টে মামলা পরিচালনা করছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন৷ বাদীপক্ষের আইনজীবী বললেন, বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে৷ এ জন্য ৮ জুলাই তারিখ দেয়া হয়েছে৷ আমি বলেছি, যদি কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরীক্ষা করতে চায় তাহলেও মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা করা হবে৷

কামরুল ইসলাম বলেন, পত্রিকার নিউজে পোকার কথা বলা হচ্ছে, যে গমের ছবি দেখানো হচ্ছে, সেই গমের সঙ্গে গুদামের গমের কোন ছবির মিল নেই৷ একটি পত্রিকায় আমার বিকৃত ছবি দিয়ে নিউজ ছাপা হয়েছে৷ এই গম আমদানি করে খাদ্য অধিদপ্তর৷ টেন্ডার দেয় তারা৷ টেন্ডারের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে পার্সেস কমিটি অনুমোদন দেয়৷ পার্সেস কমিটির অনুমতি নিয়ে মূল্য পরিশোধ করে অধিদপ্তর৷ খাদ্য মন্ত্রণালয় মূল্য পর্যনত্ম পরিশোধ করে না৷ এরপর কীসের ভিত্তিতে এসব নিউজ আসছে? তিনি বলেন, মনের মাধুরি মিশিয়ে একশ্রেণীর পত্রিকা ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করছে৷ বেগম খালেদা জিয়া এ নিয়ে একটি রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চান৷ যে খালেদার জিয়ার শরীরে মানুষ পোড়ার দুর্গন্ধ, তিনি এখন গমের দুর্গন্ধ খোঁজার চেষ্টা করছেন৷