image_131809_0

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ০৭ জুলাই ২০১৫: গাইবান্ধা আদালতের তিন কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় সদর থানার ওসিসহ ১০ আসামিকে মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. মহসিনুল হক এ আদেশ দেন।আসামি পক্ষের আইনজীবী শামসুল আলম প্রধান বলেন, জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালত মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই পর্যন্ত সব আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন।আসামিরা হলেন, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিউর রহমান, গাইবান্ধা ডিবি ( গোয়েন্দা) পুলিশের উপপরিদর্শক রাকিব হোসেন, কনস্টেবল রফিক, সাদ্দাম, সাইমুম, শাহিনুর, আব্দুল্লা ও বাবলু এবং গাইবান্ধা সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক আয়েশ উদ্দিন এবং ব্যাংকের ওই শাখায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই-সশস্ত্র) আইয়ুব হোসেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২ জুলাই গাইবান্ধার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের কর্মচারী কমল চৌধুরী দুইটি চেক নিয়ে সোনালী ব্যাংকের গাইবান্ধার প্রধান শাখায় যান। ব্যাংকে গিয়ে তিনি দেখেন এএসআই আইয়ুব হোসেন ক্যাশ কাউন্টারের ভেতর চেকের সিরিয়াল ওলটপালট করছেন। এ সময় সেখানে থাকা আদালতের রেকর্ড কিপার মোজাম্মেল হক ও ক্যাশিয়ার জুয়েল কবীরসহ অন্যান্য গ্রাহক আইয়ুবের ওই কাজের প্রতিবাদ করেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদেরকে ধমক দেন। তখন কমল চৌধুরী উভয় পক্ষকে শান্ত হতে বললে আইয়ুব হোসেন উত্তেজিত হয়ে তাঁকে গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে গাইবান্ধা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকজন সদস্য ব্যাংকে গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপকের কক্ষে বসে থাকা কমল চৌধুরীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলে মোজাম্মেল হক ও জুয়েল কবীরকেও তাঁরা মারধর করেন।

এই ঘটনার পর কমল চৌধুরী বাদী হয়ে গত রোববার দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিউর রহমানসহ ১০ জনকে আসামি করে গাইবান্ধার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারক এসএম তাসকিনুল হক মামলাটি আমলে নিয়ে ওই দিনই আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই আদেশ তামিল করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য জেলার সহকারী পুলিশ সুপারকে (এ সার্কেল) নির্দেশ দেন।আদালতের ওই আদেশের পর জেলা পুলিশ সুপার ঘটনাটি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন। তাৎক্ষণিকভাবে উপপরিদর্শক রাকিব হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (সশস্ত্র) আইয়ুব হোসেন, কনস্টেবল রফিক, সাদ্দাম, সাইমুম, শাহিনুর, আব্দুল্লা ও বাবলুকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয় এবং সদর থানার ওসি রাজিউর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।