Anis2_2

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ জুলাই: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি)২০১৫-১৬ অর্থবছরের ১ হাজার ৬ শত ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের সংশোধিত ৮শত ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার বাজেটও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।বুধবার দুপুরে করপোরেশনের উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে সংস্থার প্রথম নির্বাচিত মেয়র অনিসুল হক এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই বাজেট ঘোষণা করেন। গত অর্থবছরের বাজেট ছিল ২ হাজার ৪১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

মেয়র বলেন, নিজস্ব উৎস ও সরকারি বিশেষ অনুদান থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্টপ্রকল্প থেকে ৪শত ৭৬ কোটি টাকা এবং প্রারম্ভিক স্থিতি থেকে ৯০ কোটি টাকা।তিনি আরো বলেন, ‘ডিএনসিসির নিজস্ব রাজস্ব আয়ের খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে ৪১০ কোটি, বাজার সালামি থেকে ১৬০ কোটি, বাজার ভাড়া থেকে ১৪ কোটি, ট্রেড লাইসেন্স খাত থেকে ৪০ কোটি, রিক্সা লাইসেন্স থেকে ৫০ লাখ, প্রনোদ কর থেকে ১ কোটি, সম্পত্তি হাস্তান্তর থেকে একশত ৩০ কোটি, ক্ষতিপূরণ (অকট্রয়)থেকে ৫ কোটি, বিজ্ঞাপন খাত থেকে ১৬ কোটি, বাস-ট্রাক ট্রার্মিনাল থেকে ১০ কোটি, গরুরহাট ইজারা থেকে ১৬ কোটি, ইজারা (ট্য়লেট,ঘাট) থেকে ৫০ লাখ, পুরাতন অকেজো মালামাল বিক্রি ৫০ লাখ, জবাই খানা ইজারা ২৫ লাখ, রাস্তা খনন ফি থেকে ৪৪ কোটি, যন্ত্রপাতি ভাড়া ২ কোটি, সিডিউল ও অন্যান্য ফরম বিক্রিয় ১ কোটি, কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া থেকে ২ কোটি ৪০ কোটি, কবরস্থান ও শ্মশানঘাট থেকে ৬ কোটি, বিদ্যুৎবিল আদায় ১২ কোটি, বিবাহ, জন্ম ও মৃত্যু সনদ খাত থেকে ৩ কোটি, অন্যান্য ভাড়া থেকে ৩ কোটি এবং অন্যান্য থেকে ৪ কোটি টাকা আয় প্রস্তাব করা হয়েছে।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, চলতি অর্থবছরে উন্নয়নমূলক খাতে মোট ব্যয় ১ হাজার ১৪৪ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।তিনি বলেন, ব্যয়ের খাতগুলোর মধ্যে নগরীর বর্জ্যব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ, পানি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং মশক নিধনসহ সেবামূলক কার্যক্রমের মান বৃদ্ধির খাতে ৩১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হক, সচিব আবু সাঈদ শেখ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মমতাজ উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা,প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ আহসান এবং ডিএনসিসির বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।