road

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫: ঈদের ছুটি শুরু না হলেও এখনই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দেখা দিচ্ছে তীব্র যানজট। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের নাটিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হওয়া এই যানজটে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা। তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকছেন।জানা গেছে, আজ শনিবার ভোর পাঁচটা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যানজটের মাত্রা একই ছিল। এসময় কোনো কোনো স্থানে অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছিল যানবান। গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ সার্জেন্ট হুমায়ুন কবীর জানান, চাপটা সৃষ্টি হয়েছে চন্দ্রায় অতিরিক্ত গাড়ির কারণে। সেটা ধীরে ধীরে বিস্তার করছে মির্জাপুর- নাটিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার।

তিনি বলেন, গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে গাড়িগুলো আসছে ফোর লেন দিয়ে। কিন্তু চন্দ্রায় এসে সেগুলো চলছে টু-লেনের মহাসড়ক দিয়েছে। তাই এখানে চাপটাও বেশি।তবে যানজট স্বাভাবিক করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।শনিবার ভোরে মুষলধারে বৃষ্টি এবং মহাসড়কে পশু বোঝাই ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চন্দ্রা ত্রিমোড় ও এর আশে পাশের ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়কে আটকা পড়ে গরু বোঝাই ট্রাক চালক ও ঈদ উপলক্ষে ঘরে ফেরা যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

ঢাকাগামী গরুবোঝাই ট্রাক নিয়ে যানজটে পড়েছেন গরু ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে রাত সাড়ে ৩টায় রওনা হয়ে কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় এসে পৌঁছেছি সকাল সাড়ে ১০টায়। কোনাবাড়ির সালনা মহাসড়ক থানার ওসি দাউদ খান জানান, মহাসড়কে পশুবাহী ট্রাক ও অতিরিক্ত গাড়ির চাপে মহাসড়কে যানবাহন ধীর গতিতে চলছে। তবে মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।