unnamed

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ নভেম্বর ২০১৫: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় এ বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় সোয়া সাতটা দিকে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বিশেষ দূত ও দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী মন্ত্রী চিয়ান ফেং জিয়াংয়ের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের দলটি খালেদার সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে অব্যশই আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে আমাদের বিরোধীদলের যে পরিস্থিতি, রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বহীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে। সেই কথা গুলো আলোচনায় এসেছে। বর্তমান পরিস্তিতি নিয়ে কীভাবে এ দেশ উন্নয়ণের পথ থেকে দেশে দুরে সরে যাচ্ছে এই বিষয়গুলো তাদের দৃস্টি আকর্ষন করেছি।পাশাপাশি দেশে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকে অর্থনীতি, সমাজনীতি, নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে জাতীয়তাবাদী দল বাংলাদেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে চায়নার সঙ্গে উন্নয়নের সম্পর্কে আরও জোরদার করবে। পাশাপাশি বিএনপি ও কামিউনিস্ট পার্টির দলগত যে সম্পর্ক এটি তিনটি প্রক্রিয়ায় শক্তিশালী করা হবে এই প্রস্তাব তারা দিয়েছে। আমরা তার সঙ্গে একমত হয়েছি। এগুলো হচ্ছে- প্রথমত দুই দেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিনিময় ভিজিট। এবং দুই দেশের দলের কর্মীদের মধ্যে টেনিং প্রোগাম প্রচরণ করা। তৃতীয়ত আমরা এখান থেকে গিয়ে তাদের উন্নয়ণ প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেখানে লেখাপড়া করতি পারি। গবেষণা করতে পারি, থিংটেং শক্তিশালী করতে পারি। প্রয়োজনে বেসরকারী প্রতিষ্ঠাগুলোতে বাংলাদেশ ও চায়না মিলে স্টাডি করতে পারি। এছাড়া আমাদের যে সামরিক বাহিনী প্রথম যে উন্নয়ন করে ছিলাম, জিয়াউর রহমানের সময়ে চীনের সহযোগিতায়। ভবিষ্যতে খালেদা জিয়া দেশে পরিচালনার দায়িত্বে এলে তা আরো জোরদার করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে বিভিন্ন বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছে। আমরা পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলেছি আধুনিক চায়না এবং বাংলাদেশের মধ্যে যে নতুন সম্পর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। সেটা হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে এবং তিনি ৪৪ বছর আগে সেই সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন। তারই ধারবাহিকতায় আজকে বাংলাদেশ এবং চায়নার শুধু দুই দেশের জনগণের মধ্যেই নয় বিএনপির তথা কমিউনিস্ট অব চায়নার মধ্যে একটি অত্যন্ত বিস্তত্ব সম্পর্কে সৃস্টি হয়েছে। যা দিন দিন গুরুত্বপূর্ণভাবে এগিয়ে চলছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বৈঠকে বলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন চীন সঙ্গে যে গুরুত্বপূর্ন প্রকল্পগুলো নেয়া হয়েছিল সফলতার সঙ্গে অনেকগুলো সমাপ্ত হয়েছে। বাকীগুলো চালু রয়েছে।চীনের প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্য মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন— চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ডিরেক্টর জেনারেল ইয়ান ঝিবিন, ডিরেক্টর ইয়ান রিঢং, ভাইস মিনিস্টারের সচিব লিও ইয়াং ঝি, কমিউনিস্ট পার্টির সহ-সম্পাদক টান উই, পার্টির রাজনৈতিক কর্মকর্তা হিহি প্রমুখ।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— স্থায়ী কমিটির লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম উসমান ফারুক, রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সভাপতি শ্যামা ওবায়েদ।এর আগে, রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকসহ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।