দৈনিকবার্তা-মুন্সীগঞ্জ, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫: বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন আমরা বীরের জাতি, আমরাও পারি।শনিবার পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় এ মন্তব্য করেছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার,উত্তর মেদেনী মন্ডল খান বাড়িতে এ জনসভার আয়োজন করে মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ।জনসভায় প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে মাওয়ায় পদ্মাপাড়ে সুইচ অন করে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন পদ্মার মূল সেতুর নির্মাণ কাজ। তার এ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেছে পদ্মাসেতু নির্মাণের মূল কর্মযজ্ঞ।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুরুর আগে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।মঞ্চে উঠেই সমবেত জনগণকে তিনি প্রশ্ন করেন, পিলারের কাজ শুরু হয়েছে কি না? জবাবে সমবেত জনগণ হাত নেড়ে তার এ কথার সায় দেয়।এ সময় তিনি পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আনায় বিশ্বব্যাংকের কঠোর সমালোচনা করেন।তিনি বলেন, এখানে ২৪ ঘণ্টা কাজ চলছে। রাতে বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলছে। হাজার- ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা, দেশরতœ শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর এই মহাযজ্ঞের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন আমরা পারি।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু,কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী,খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-আলম খান লেলিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, মাহবুব-উল-আলম হানিফ প্রমুখ। পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন এরইমধ্যে হয়ে গেছে। এখন অপেক্ষা প্রধানমন্ত্রীর মুখে দু’টি কথা শোনার জন্য কেবল মাওয়াবাসীর কেন, দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজার হাজার জনতা। পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী দিনে কে না সাক্ষী হয়ে থাকতে চায়।তাই তারা ছুটে এসেছেন শ্রীনগর, লৌহজং, সিরাজদিখান, কেরাণীগঞ্জ থেকে। এছাড়াও পদ্মার ওপারের জাজিরা, মেঘনার ওপারের গজারিয়া থেকেও এসেছেন অনেকে। তাদের মুখে স্লোগান পদ্মা সেতু দেশের উন্নয়নের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রীকে তারা বলছেন সেই উন্নয়নের পথপ্রদর্শক, পরিবর্তনের অগ্রদূত।বিকেল ৩টায় শুরু হয় জনসভা। তার আগেই লোকে লোকারণ্য সমাবেশস্থল। কারও হাতে ব্যানার, কারও হাতে ফেস্টুন। সবাই আসেন মিছিল নিয়ে। ঢোল বাজিয়ে, বাদ্যের তালে তালে আসছেন তারা।এদিকে, মাওয়ায় পদ্মাপাড়ে প্রধানমন্ত্রী সুইচ টিপে উদ্বোধন করেন পদ্মার মূল সেতুর নির্মাণ কাজ। তার এ উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে গেছে পদ্মাসেতু নির্মাণের মূল কর্মযজ্ঞ।বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোলিক হ্যামারে নদীর তলদেশে গভীর থেকে গভীরে প্রোথিত হচ্ছে পদ্মাসেতুর মূল পাইল। মাওয়া থেকে এক কিলোমিটার ভেতরে নদীর মাঝে এটি হতে যাচ্ছে সাত নম্বর পিলার। উদ্বোধনের আগেই নদীর মাঝে গিয়ে পিলারের স্থানটিও দেখে আসেন প্রধানমন্ত্রী।