file (5)

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে কোনো দিনই দ্বিতীয় হতে যায় অংশ নেয় না বাংলাদেশ। ১৯৯৭ সালে কাঠমান্ডুর প্রথম আসর থেকেই সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই খেলেছে বাংলাদেশ। সাফল্য কেবল একবার এলেও সেই লক্ষ্যের অন্যথা কখনোই হয়নি বাংলাদেশের। গেল দুটি আসরে গ্র“প পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভারতের ত্রিবান্দ্রামে শুরু হতে যাওয়া আরও একটি আসরে গ্র“প পর্বেই চোখ রাঙাচ্ছে আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ। তারপরেও অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম চ্যাম্পিয়নশিপ ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই পারছেন না।ত্রিবান্দ্রামে রওনা হওয়ার আগের দিন শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসে চ্যাম্পিয়নশিপের প্রত্যয়টাই শোনালেন কোচ মারুফুল হক ও অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম।

২০ দিন আগে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যটা শিষ্যদের ভেতর স্বপ্নটা দিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় ফুটবলের অন্যতম সফল এই কোচ। তিনি জানিয়েছেন, এই প্রতিযোগিতায় লক্ষ্যপূরণের জন্য শারীরিক ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধির ব্যাপারটিকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি, আমি প্রস্তুতিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি, খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বৃদ্ধিতে। মাঠের প্রস্তুতিটাও পাশাপাশি চলেছে, আমার মনে হয় মাঠের প্রস্তুতির পাশাপাশি এই দুই জায়গায় উন্নতিটাও স্পষ্ট। নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতিম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে। কার কী ভুল ছিল, সেগুলো শুধরে দিয়েছি। আশা করি মূল প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়েরা ভুলের পুনরাবৃত্তি করবে না।২৪ ডিসেম্বর প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই প্রতিযোগিতায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মারুফুল এই ম্যাচটিকেই করছেন পাখির চোখ, প্রথম ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচটা জিতলেই শিরোপা জয়ের পথে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়া যাবে। আফগানিস্তান শক্তিশালী দল। আমরা তাদের বিপক্ষে জিতেই প্রতিযোগিতা শুরু করতে চাই।

মামুনুল বললেন, এবারের সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা কোচের কাছে দেওয়া খেলোয়াড়দের প্রতিশ্র“তি, আমরা কোচকে কথা দিয়েছি। ওনার নির্দেশনা মেনে চলেছি প্রতিটি দিন। আমি মনে করি শৃঙ্খলা মেনে,মানসিক শক্তির পূর্ণ প্রয়োগ ঘটিয়ে এবার দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারব।২০০৩ সালে ঘরের মাঠে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে একবারই শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৯ ও ২০০৫ সালে ফাইনালে উঠেও ভারতের কাছে হার মানতে হয় বাংলাদেশকে। ২০০৯ সালে ঘরের মাঠে সেই ভারতের কাছে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।২০১১ সালে দিল্লি ও ২০১৩ সালে কাঠমান্ডুতে গ্র“প পর্ব থেকেই শেষ হয়েছিল বাংলাদেশের সাফ-যাত্রা।