muhit-6_99858

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি ২০১৬: টিআইবির প্রতিবেদনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, (দুর্নীতিতে) কোনো ইমপ্র“ভমেন্ট হয়নি বলে আমরা ধারণা। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি কথাও বলতে চাই না। দুর্নীতির ব্যাপারটাতে আমরা টাচ-ই করতে পারি নাই। আর্থিক খাতের কারণে দুর্নীতির সূচকে ইতিবাচক অগ্রগতি নেই বলে টিআইবির পর্যবেক্ষণের বিষয়ে মুহিত বলেন, হ্যাঁ সেটা হতে পারে। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে বুধবার সকালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের দুর্নীতির মাত্রা প্রকাশ করে। প্রকাশিত তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ বিশ্বের ১৬৮টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। এর আগের বছর ২০১৪ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪তম।

দুর্নীতি কমাতে ডিজিটালাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, তবে আমাদের পদক্ষেপ আছে। আমার ইনিশিয়েটিভ কন্টিনিউয়িং ডিজিটালাইজেশন। এ সময় তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, সিলেটের মদন মোহন কলেজ ডিজিটালাইজেশন হওয়ায় আয়ের পরিমাণ ৮ লাখ টাকা থেকে ৮২ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে।তবে তিনি এটাও বলেন যে, হলমার্কসহ বিভিন্ন ঘটনায় সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তা-ও বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে আর্থিক খাতের কয়েকটি কেলেঙ্কারির কারণে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের পর্যায়ের কাউকে এর আগে আইনের আওতায় আনা হয়নি। একটি ব্যংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রথম দুর্নীতি বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) সঙ্গে একমত পোষণ করলেন সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী। তিনি মনে করেন, দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধে কোনো যে অগ্রগতি হয়নি এ ব্যাপারে তিনিও একমত।

এরপর সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে টিআইবির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, হ্যাঁ সেটা বলতে পারেন। দুর্নীতিতে কোনো উন্নতি হয়নি বলে আমার ধারণা। এ নিয়ে আমি কথাও বলতে চাই না।অর্থমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি কমাতে আমাদের পদক্ষেপ আছে। আমার ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগুচ্ছি। একই সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি, যা আগে হয়নি।