গভর্নরকে চোর ধরার সিস্টেম দেখালো বিএনপি
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে লোপাটকৃত অর্থ (৮০০ কোটি টাকা) উদ্ধারে ব্যাংকটিকে সহযোগিতা করতে চায় বিএনপি। সে লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত বিএনপির গবেষণামূলক একটি প্রতিবেদন ও সিডি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পৌঁছে দিয়েছে দলটি।বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সোমবার দুপুর ১২টায় গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে এ প্রতিবেদন ও সিডি হস্তান্তর করে।

দুপুর ১টায় গভর্নরের কার্যালয় থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বদানকারী বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক আব্দুস সালাম। প্রতিনিধি দলের অপর সদস্য হলেন দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি।

আব্দুস সালাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে লোপাট হওয়া অর্থ জনগণের। জনগণের এই টাকা লোপাটে বিএনপি উদ্বিগ্ন। সেজন্য ঘটনা ঘটার পরপরই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ বিষয়ে দলের কনসার্ন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, এ বিষয়ে গবেষণা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য। আমাদের দলের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এক্সপার্টদের দিয়ে এ বিষয়ে গবেষণামূলক একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, লোপাটকৃত এই টাকা অনতিবিলম্বে উদ্ধার হওয়ার পাশাপাশি জড়িতরা গ্রেপ্তার হোক। এ লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে সহযোগিতা করতে চাই। সেজন্য এ সংক্রান্ত আমাদের গবেষণামূলক প্রতিবেদন ও সিডি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে হস্তান্তর করেছি। আশা করছি, এটি তারা পর্যবেক্ষণ করলে দোষীরা ধরা পড়বে।’

বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘আমরা গভর্নরকে বলেছি, একটি বিশেষ অবস্থায় আপনি এখানে (বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর) দায়িত্বে এসেছেন। আপনার প্রধান কাজ হবে, এটা (টাকা উদ্ধার ও জড়িতদের চিহ্নিত করা) বের করে আনা। এ লক্ষ্যে আমরা আপনাদেরকে সহযোগিতা করতে চাই। সেজন্য বেগম খালেদা জিয়া আমাদেরকে আপনার কাছে পাঠিয়েছেন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাম বলেন, ‘গভর্নর সাহেব খুব খুশি হয়েছেন। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে আপনাদের (বিএনপি) সহযোগিতা অবশ্যই কাম্য। আপনারা যে সহযোগিতা (এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও সিডি দিয়ে) করলেন তার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’ গবেষণা প্রতিবেদন ও সিডির সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের একটি চিঠিও গর্ভনরের কাছে দিয়েছেন বলে জানান আব্দুস সালাম।