Rape-ধর্ষন

ফেনীর দাগনভূঁঞায় থানা এলাকায় একজন বিচারপ্রার্থী নারীকে ধর্ষনের অভিযোগে থানার একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার হোসেন ও রাইটার আবদুল মন্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার সকালে এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে। গতকাল পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের দুইজনকে ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।ওই নারীর অভিযোগে জানা যায়, তিনি গত রোববার সকালে তাঁর পারিবারিক বিষয়ে একটি অভিযোগ দিয়ে দাগনভূঁঞা থানায় গিয়েছিলেন। তাঁর কথামত থানার রাইটার আবদুল মন্নান একটি দরখাস্ত লিখে দিয়ে তাঁকে থানার পাশে ‘জামান টাওয়ার’ নামে একটি ভবনে নিয়ে যায়। ওই ভবনের একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার হোসেন। রাইটার মান্নান ওই নারীকে এএসআই দেলোয়ারের কক্ষে রেখে সরে পড়েন। দেলোয়ার দরজা বন্ধ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করেন। পরে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অভিযোগ হিসাবে অবহিত করেন।

এ ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে দারোগা দেলোয়ার হোসেন ও রাইটার আবদুল মন্নানকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার ফেনী সদর হাসপাতালে ওই নারীর ধর্ষন সংক্রান্ত ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে।বিষয়টি শোনার পর ফেনীর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-সার্কেল) মো. আমিরুল আলম গত রোববার সন্ধ্যায় দাগনভূঁঞা থানায় গিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করেন এবং ওই নারীর সাথে তার অভিযোগের কথা শোনেন। রাতেই রাইটার আবদুল মানানকে আটক ও দারোগা দেলোয়ারকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

দাগনভূঁঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআই দেলোয়ার ও রাইটার মান্নানকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গতকাল সোমবার ফেনী সদর হাসপাতালে ওই নারীর ধর্ষন সংক্রান্ত ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার দুইজনকে ফেনীর বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত; ওই নারী দাগনভূঁঞায় বহুল আলোচিত মা ও মেয়ে ধর্ষন মামলার বাদি।