বিজয় দিবসে রাজধানীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি

প্রকৃত জঙ্গি ধরা হচ্ছে না,আন্দোলনরত বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের ধরে জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী। দেশব্যাপী গণগ্রেপ্তার চলছে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, জঙ্গি দমনে সাঁড়াশি অভিযানের নামে আন্দোলনরত বিরোধী দলের নিরাপরাধ ও নিরীহ কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ অভিযানে প্রকৃত কোনো জঙ্গিকে ধরা হয়নি। সন্দেহভাজন বলে যে ১৪৫ জনের মতো ধরা হয়েছে, তাদের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ আছে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও আজকের বাস্তবতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদপত্রের কালো দিবস পালন উপলক্ষে ‘ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট’ নামের একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে। রুহুল কবীর রিজভী আরো বলেন, বিরোধী দলের যেসব নেতাকর্মীদের ধরা হয়েছে তাদের কাছ থেকে এখন ‘জঙ্গি’ বলে স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেভাবেই হোক, বিরোধী দলকে জঙ্গি হিসেবে উপস্থাপন করাই তাদের লক্ষ্য।

বিচার-বহির্ভূত হত্যাকান্ডের খবর গণমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রচারিত-প্রকাশিত হচ্ছে না উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সরকারের চাপে নয়তো ভয়ে অধিকাংশ মিডিয়ার মালিক মুখ খুলছেন না। তবে এর পরিণাম ভালো হবে না। আপনারাও (গণমাধ্যম) এ স্বৈরাচারি সরকারের হাত থেকে রেহাই পাবেন না। ভারতের কাছে সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্য হল তোদের যত লাগে নে, শুধু আমার সিংহাসন আর মুকুটটি যেন ঠিক থাকে। আর তারা বলছে হাসিনা অকৃত্রিম বন্ধু। বন্ধু আপনাদের হতে পারে দেশের মানুষের না।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, পঁচাত্তরের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের ওপর নগ্ন হামলা হয়েছে। তারা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দৈনিক বাংলা, টাইমস্, বিচিত্রা ও আনন্দ বিচিত্রা বন্ধ করে দিয়েছিল। আর বর্তমানে বন্ধ করেছে দৈনিক আমার দেশ, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি। সবকিছু মিলিয়ে প্রমাণিত হয়, আওয়ামী লীগ সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থেই সরকারের উচিত অবিলম্বে বন্ধ সব গণমাধ্যমকে চালু করার ব্যবস্থা করা।দৈনিক নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম খানের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- স্বাধীনতা ফোরাম সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতা কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।