10-09-16-ajimpur_jmb_dmch-1

আজিমপুর জঙ্গি আস্তানায় আহত তিন ‍নারী জঙ্গির মধ্যে শায়লা ‘নব্য জেএমবি’র অপারেশনাল কমান্ডার ও হলি আর্টিজান হামলার পরিকল্পনাকারী মারজানের স্ত্রী বলে নিশ্চিত করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ঘটনার দিন অস্ত্র হাতে পুলিশের উপর হামলা চালায় শারমিন নামের আরেক জঙ্গি। সে নব্য জেএমবির আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাহুলের স্ত্রী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আজিমপুর জঙ্গি আস্তানায় আত্মহত্যা করে জামশেদ ওরফে আব্দুল করিম। তার স্ত্রী আহত জঙ্গি খাদিজা।কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানান, নব্য জেএমবিতে তামিম চৌধুরীর পরের অবস্থান ছিলো মেজর জাহিদুল ইসলামের। এর পরের অবস্থানে ছিলেন জামশেদ ওরফে আব্দুল করিম। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বোম ডিস্পোজাল ইউনিটরে প্রধান ছানোয়ার হোসেন বলেন, জঙ্গি জামশেদের জাতীয় পরিচয়পত্র বাদে অন্য সব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে আঙ্গুলে চাপ মেলানোর পরে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিচয় জানানো যাবে বলেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরই জামশেদ ওরফে আব্দুল করিমের বিষয়টি জানতে পারে গোয়েন্দারা। সে একটি বেসরকারি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এরপর থেকে গোয়েন্দারা তাকে খুঁজতে শুরু করে।আজিমপুর ওই আস্তানা থেকে জঙ্গি হামলার বেশকিছু উপকরণ পাওয়া গেছে। নগদ চার লাখ টাকাও পাওয়া যায় সেখানে।তামিমের পরে ‘নব্য জেএমবি’ নেতৃত্বে আসে জামশেদ ওরফে আব্দুল করিম ও মেজর জাহিদুল ইসলাম। নতুন নেতৃত্বে আসা এই দু’জন নতুন করে দেশে হামলার ছক আঁকছিলো বলেও জানান গোয়েন্দারা।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার এক ’শিশু মেজর জাহিদের সন্তান। আরো দুই শিশু আব্দুল করিমের সন্ত্রান বলেও জানান এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। ঢাকা মেডিকেল সূত্র জানায়, আহত জঙ্গিদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন জঙ্গিরা চিকিৎসকদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে, যা তদন্ত সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে বলেও জানান তিনি।