%e0%a7%ac-%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%9f%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%87%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b6

ঈদের শেষে ভারি বর্ষন আর প্রবল ঝড় উত্তাল পদ্মা কে ওপেক্ষা না করেপ্রতিবছরের তুলনায় বেশীরভাগ জেলেরা ছুটে চলছেন পদ্মানদীর কোলে সখের”রূপালী ‘ইলিশের টানে ‘ইলিশের রাজধানী’ খ্যাত মুন্সীগঞ্জ ও মেঘনা নদীতে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচুর রূপালী ইলিশ ধরা পড়ছে।

জেলেরা ২/৩মাস অলস সময় কাটানোর পর পেয়েছে নতুন গতি পদ্মা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে দিগুন। এতে উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার জেলের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। জেলে পারায় আনন্দের হিরিক। এদিকে জেলেরা দাদনের বোঝা ও সংসারের ঘানিতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছিল। এখন নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ পাওয়ায় তারা আনন্দে আত্মহারা।বাজারে ইলিশের দাম ভালো থাকায় উপজেলার জেলে ও ব্যবসায়ী আড়তদারদের মধ্যে উত্সবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। তাই বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যেও কিছুটা স্বস্থি ফিরে আসতে দেখা গিয়েছে।সোমবার সকালে সরোজমিনে মাওয়া পদ্মাপাড়ে মৎস্য ঘাটে গিয়ে দেখা যায় পর্যাপ্ত বড় বড় সাইজের পদ্মার ইলিশ রয়েছে এখানে ঢাকার সহড় সহ সারাদেশে সরবরাহ হচ্ছেএ মাছ গুলো কিছো সাইজও বড়। এর মধ্যে ২ কেজি ৯শ”গ্রামের ওজনের ইলিশও রয়েছে বেশ কটি এছাড়া বেশির ভাগই এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে। এ সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭শ থেকে ৯শ টাকায় প্রতি পিছ ।সংশ্লিষ্টরা জানায়,এ জেলার ৫ হাজার জেলে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। মাছ ধরা ও বিক্রি করাই তাদের একমাত্র উপার্জনের পথ।তবে সরকারের জাটকা ধরা নিষিধ্য অভিযান সময়ে তারা নদীতে মাছের জন্য কেউ নামেন না বাজারে ইলিশের ভালো দাম থাকলেও । ২কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের এ ইলিশটি বিক্রি হয়েছে আজ সোমবার মাওয়া পদ্মাপাড়ে মোঃ মুকলেছ , (মৎস্য পাইকারী) আড়তে। ভোরে ইলিশ টি সুরেশ্বর নামক এলাকার পদ্মা থেকে এক জেলে বড় ভিন্ন সাইজের এ মাছ মৎস্য আড়তে আনেন।

এ সময় মাছ ’টি তিনি ডাকে বিক্রি করেন ৫ হাজার টাকায়। মাওয়া এলাকার পাইকারী বিক্রেতা মোঃ মুকলেছ নামের এক ব্যবসায়ির কাছে । সে ২কেজি ৯০০গ্রাম ওজনের ইলিশ টি ১হাজার টাকা লাভে ৬ হাজার টাকা দামে, ঢাকার এক পাইকারী ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রিকরে। দুলভ বড় আকারের মাছ হওয়ায় মাছের দাম এরকম হওয়ার একটাই কারণ বলে জানা গেছে। একইসাথে রাজধানী থেকে বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা মোবাইল ফোনে মাছ ব্যবসায়ীদের কাছে বড় সাইজের ইলিশের জন্য হণ্যে হয়ে খুঁজছেন । ফলে চাহিদা ও শখের কারণে দামও বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ।

গেলমাত্র ৭”দিন ঈদের শেষে শুরু হলো ইলিশের আয়োজন অতিত মেহমানের আপ্পায়নকেন্দ্র করেই ইলিশ কেনার আশায় দূর -দুরান্ত থেকে অনেকেই ছুটছেন বহুআলোচিত পদ্মাসেতু এলাকার মাওয়ার পদ্মাপাড়ে।এসব কিছুকে কেন্দ্র করেই পদ্মার রূপালী ইলিশের বাজারে এখন আগুনের উত্তাপ।সোনার দামে ইলিশ।যাও পাওয়া যাচ্ছে তাও দাম হাঁকা হচ্ছে আকাশচুম্বী।দুস্কও তরতাজা একটি পদ্মার ইলিশ এখন বিক্রি হচ্ছে ৭শথেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায়।রাজধানীর বিভিন্ন পাইকার ,স্থানীয় খুচরা বিক্রেতাদের পাশাপাশি বিত্তবান অনেক ক্রেতা খুব ভোরে মাওয়ায় এসে এসব ইলিশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বেশী দাম দিয়ে।তবে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এ হারে দাম বাড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে এক কেজির বেশী পরিমাপের বড় সাইজের ইলিশ এখন পাওয়া যাচ্ছে তবে দাম বেশি । আঃ মজিদ মৎস্য আড়তের মালিক মোঃ মজিদ শেখ জানায়,গত কয়েকদিন থেকে পদ্মার বড় ইলিশের সঙ্কট নেই এক কেজি ওজনের ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে।মাত্র দু’দিন আগেও ইলিশের পাইকাররা ১কেজির সামান্য কম ওজনের ৪টি ইলিশ ১২শ টাকা দিয়ে বিক্রি করা হলেও আজ সোমবার থেকে এসব ওজনের এক হালি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২/২২শ টাকায়। এক কেজির বেশী হঠাৎ যাও পাওয়া যাচ্ছে তা বিক্রি হচ্ছে ১৪/১৫শ টাকায়। তিনি আরো জানান ,আজ ভোরে শরীয়তপুরের সুরেশ্বর এলাকার নামার পদ্মা থেকে জেলেরা বড় ভিন্ন ভিন্ন সাইজের কয়েক ’টি ইলিশ মাছ তার আড়তে আনে।এ সময় মাছ গুলোতিনি ডাকে বিক্রি করেন ৩/সাড়ে ৩হাজার টাকায়। ঢাকার এক পাইকারে নিকট ২কেজি ওজনের একটি ও এক কেজি পরিমাপের কম ওজনের ৪টি ইলিশ মাছ ৫ হাজার টাকায় ।