%e0%a6%b2%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a1%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%97%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%a1

কিংবদন্তি রুনা লায়লার সংগীত জীবনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়নে উদযাপিত হয়েছে ‘রুনা লায়লা গোল্ডেন জুবিলি কনসার্ট’। মাত্র ছয় বছর বয়স থেকে গানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন রুনা লায়লা। সাড়ে ১১ বছর বয়সে এই সংগীতশিল্পী প্রথম প্লেব্যাক করেছিলেন উর্দু ছবি ‘জুগনু’তে। ১২ বছর বয়সে ক্লাসিক্যাল সংগীতে হাতেখড়ি তার। ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের গানে প্রথম কণ্ঠ দেন তিনি। বাংলা সিনেমায় প্রথমবারের মতো মাহমুদুন্নবীর সঙ্গে ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ মেলান রুনা লায়লা।

জনপ্রিয় এই সুর সম্রাজ্ঞী এ পর্যন্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সর্বমোট ছয়বার। অর্জন করেছেন স্বাধীনতা পদক, ভারতের সায়গল পুরস্কার, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিকের স্বর্ণ পদকসহ আরও অসংখ্য পুরষ্কার।

১৯টি ভাষায় এ পর্যন্ত গেয়েছেন ১০ হাজারেরও বেশি গান। উপমহাদেশের এই জীবন্ত কিংবদন্তির সংগীত জীবনের এতো সব অর্জনকে স্মরণীয় করতে ডক্টর শেফ ইউকে ও কিডস ফর কিডস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে লন্ডনে এই গোল্ডেন জুবিলি কনর্সাটের আয়োজন করা হয়। শনিবার লন্ডন সময় সন্ধ্যা সাড়ে আটটায় শুরু হয় এই কনসার্ট। ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাবো’ শিরোনামের গানটি দিয়ে শুরু করে একে একে তিনি গাইলেন ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িত গেলাম’, ‘সাধের লাউ’, ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে’, ‘পান খাইয়া ঠোট লাল করিলাম’, ‘দে দে পেয়ার দে’র মতো জনপ্রিয় গানগুলো। শুধু সংগীত নয়, নিজস্ব ঢং আর রসিকতার ছলে দর্শকদের মঞ্চে ডেকেও একসঙ্গে নেচে গেয়ে হল ভর্তি দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিলেন এই গানের পাখি। সাড়া জাগানো গান ‘দমাদম মাস্ত কালান্দার’ গেয়ে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কনসার্ট শেষ করেন তিনি। এদিকে কনর্সাট শুরুর আগে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ডক্টর অনির্বাণ ও ডক্টর অর্পিতা কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লার সংগীত সাধানায় ৫০ বছর পূর্ণ করায় তার হাতে বিশেষ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।