%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%a4%e0%a7%87%e0%a6%93-%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%ac%e0%a6%a6%e0%a6%bf

দুর্নীতির মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া ৩ বছরের কারাদ-প্রাপ্ত কক্সবাজার-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। রোববার চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দুদকের করা জামিন স্থগিত আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘নো অর্ডার’ দেন। এই আদেশের ফলে এমপি বদির জামিন বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।এর আগে বদিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে গত ১৭ নভেম্বর আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গত ১৬ নভেম্বর বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ কারাদন্ডের বিরুদ্ধে বদির করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। একইসঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানার রায় স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিগত ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রমনা থানায় সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস সোবহান।

গত ২ নভেম্বর এই মামলায় ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহম্মেদ জমাদ্দার তথ্য গোপনের অভিযোগে বদিকে ৩ বছরের কারাদ- ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদ- দেন আদালত। তবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীকে সূত্র ধরে বদির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় বদি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যমানের সম্পদ গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখানোর জন্য কম মূল্যের সম্পদ ক্রয় দেখিয়ে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩ হাজার ৩৭৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি দেখিয়েছেন।২০১৫ সালের ৭ মে দুদকের উপপরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আদালতে বদির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহম্মেদ জমাদ্দার তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। অভিযোগ শুনানি শেষে গত ২ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহম্মেদ জমাদ্দারের আদালত এই মামলার রায় দেন।