05-12-16-pm_cabinet-meeting-3

সরকার কারও স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ বা হুকুম দখল করলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।সরকার কারও স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ বা হুকুম দখল করলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ-সংক্রান্ত আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে কিউবার মহান বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রোর মৃত্যুতে বৈঠকে শোক প্রকাশ করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ আইনটি বিস্তারিত পর্যালোচনা করে আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে কয়েকটি বিষয় আরও পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটিতে ভূমিসচিব ও প্রতিরক্ষা সচিব থাকবেন। প্রয়োজনে কমিটি সদস্যসংখ্যা বাড়াতে পারবেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, আইনে জনপ্রয়োজন ও জনস্বার্থে ভূমি অধিগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মন্ত্রিপরিষদ মনে করে, এসব বিষয় আরও পরিষ্কার হওয়া উচিত।এ বিষয়ে হাইকোর্টের আরও কিছু পর্যালোচনা আছে।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর প্রস্তাব অনেক দিন ধরেই ছিল। ১৯৮২ সালে এ-সংক্রান্ত আইনে যদি কেউ এক লাখ ক্ষতিপূরণ পেতেন, নতুন এই আইন অনুযায়ী তিনি তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন। ওই এলাকার জমির ১২ মাসের দলিলের ব্যয় গড় পর্যালোচনা করে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হবে।

বৈঠকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশ আকারে জারির সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন আইন-২০১৬-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত ভূমির ক্ষতিপূরণ দেড় গুণের মধ্যে আছে, নতুন আইন হলে সেটা তিনগুণ হবে।অর্থাৎ, কোনো ভূমির দাম এক কোটি টাকা হলে তার সঙ্গে আরও দুইশ পারসেন্ট যুক্ত হয়ে তিন কোটি টাকা হবে।ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় ১২ মাসের জমি কেনাবেচার দলিলের গড় বিবেচনায় নিয়ে জমির দাম নির্ধারণ করা হবে বলে জানান শফিউল।এতোদিন জমি অধিগ্রহণের সময় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হত ১৯৮২ সালের একটি অধ্যাদেশ অনুসরণ করে। সামরিক শাসনের সময় জারি করা ওই অধ্যাদেশ উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাংলা করে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়িয়ে এই নতুন আইন হচ্ছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

তিনি বলেন,স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইনের খসড়া আরও যাচাই করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করতে আইনমন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রিসভা।আইনটি ‘জটিল’ বিবেচনা করে খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য আইনমন্ত্রীকে প্রধান করে ভূমি সচিব ও প্রতিরক্ষা সচিবকে রেখে একটি কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে প্রয়োজনে আরও সদস্য নেওয়া যাবে।আইনটি ব্যাপকভাবে জনস্বার্থ সম্পৃক্ত হওয়ায় আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আইনমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, বলেন শফিউল।

তিনি জানান, কোন উদ্দেশ্যে ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে তা স্পষ্ট করতে আইনে পাবলিক পারপাস ও পাবলিক ইন্টারেস্ট- শব্দ দুটোর সংজ্ঞা ও বিশ্লেষণ আইনে সন্নিবেশিত করতে বলা হয়েছে।ওই শব্দ দুটি আইনের খসড়ায় যেভাবে আনা হয়েছে তাতে বিস্তারিত বোঝা যায় না। হাই কোর্টের নির্দেশনার আলোকে বিস্তারিতভাবে সবগুলোকে একসাথে করতে বলা হয়েছে।