গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার জামাত-শিবিরের ছয় নেতা-কর্মীর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।এদিকে, রোববার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ওরফে মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।মাসুদ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা। রোববার ভোর রাতে সুন্দরগঞ্জ সদরের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান টেলিফোনে জানান, গ্রেফতার হওয়া আহসান হাবিব ওরফে কিলার মাসুদ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি আগে জাসদের রাজনীতি করতেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কিলার মাসুদ স্বেচ্ছাসেবক লীগে যোগদান করে।ওসি জানান, তবে নিহত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন কিলার মাসুদের আওয়ামী লীগে যোগদান মেনে নেননি। এই কারণে এমপি মহোদয়ের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল।তিনি বলেন, এই বিরোধ অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে দেখা দেয়। তাই এমপি হত্যার ঘটনায় কিলার মাসুদ সন্দেহের তালিকায় ছিল। এজন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন এমপি লিটন। এরপর তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই মোটরসাইকেলে করে পাঁচ দুর্বৃত্ত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের নিজ বাড়িতে গিয়ে তাকে গুলি করে পালিয়ে যান। সকালে গাইবান্ধার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ময়নুল হাসান ইউসুফ জামাত-শিবিরের ছয় নেতা-কর্মীকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।ছয় জন হলেন: ফরিদ মিয়া, সামিউল ইসলাম, হাদিসুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হজরত আলী ও নবিনুর খন্দকার।সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বলেন, মনজুরুল ইসলাম হত্যায় সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সে জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে ছয়জনের প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়।শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছে, আগে থেকেই এ ছয় জনের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় নাশকতার মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে সাংসদ মনজুরুল নিহত হন।