ঈদযাত্রায় মহাসড়গুলোতে যানজটে প্রতিবারই দুর্ভোগে পড়তে হয়ে নাড়ির টানে গ্রামে ছুটে চলা মানুষকে। এবার এই জটিলতা এড়াতে পোশাক কারখানাগুলোকে ধাপে ধাপে ছুটি দিয়ে ঈদের পর ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কারখানার খোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার বিআরটিএ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কাচপুর, গাজীপুর, টঙ্গী, কোনাবাড়ি, চন্দ্রা এসব এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন দিনে ছুটি দিলে যানজটের চাপ কমতে পারে। সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ‘এবার সরকারিভাবে রোজার ঈদের ছুটি ঠিক করা হয়েছে ২৫ থেকে ২৭ জুন। চাঁদ দেখা যাওয়া সাপেক্ষে ২৬ জুলাই বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। ঈদ উপলক্ষে এবার টানা ১৪ দিন দেশের সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। পাশাপাশি ঈদের আগে তিন দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

এবার রোজায় বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দেশের সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রতিবারই কয়েক দিনের জন্য ওই নিয়ম শিথিল করে সব সময় গ্যাস বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। মন্ত্রী বলেন, ঈদের আগে ৭ দিন এবং পরে ৭ দিন সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে এবারও ঈদের আগে ৩ দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ জানাবেন তিনি। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গামেন্ট সামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।