ঢাকা মহানগরের মধ্যে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার দখলে থাকা ৫৮টি খাল ও জলাধারের ওপর সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে দখলকৃত খালসমূহ পুনরুদ্ধারে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।প্রশাসনের চিহ্নিত করা এই খালগুলোতে কোনো নির্মাণকাজ চললে তাও বন্ধ করতে হবে জেলা প্রশাসনকে।

এসব খাল-জলাধার অবৈধ দখলদারমুক্ত করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার প্রতিবেদন জমা দিতে জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েঠে দুই সপ্তাহ সময়।একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘ঢাকার খালে ২৪৮ দখলদার’ শিরোনামের প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত এই আদেশ দেয় ।প্রতিবেদনে উল্লেখিত খাল ব্যক্তি বা সংস্থার কাছ থেকে পুনরুদ্ধারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে আদালত।মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোশেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে রুলের জবাব জবাব দিতে বলা হয়েছে।এছাড়া মিরপুরের রূপনগর খালের জল নিষ্কাষণ ব্যাহত করে এমন কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।রূপনগর খালের জলসীমা নির্ধারণের পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ঢাকার জেলা প্রশাসককে তা ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

পৃথক আরেকটি আদেশে আদালত মুন্সীগঞ্জের লৌহজং সরকারি কলেজের জমি দখল করে নির্মাণাধীন ভবন অপসারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে।জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এ রুল জারি করে।স্থানীয় সরকার সচিব, শিক্ষা সচিব, ভূমি সচিব, মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক, লৌহজং থানার ওসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভবন নির্মাণকারী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেপারীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।কলেজের জমি দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণকারী জাকির হোসেন বেপারীর বিরুদ্ধে কী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সে ব্যপারে জেলা প্রশাসক, লৌহজং থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে বলেছে আদালত।আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।