অনেকে ইচ্ছে করেই আত্মগোপনে গিয়ে সরকারকে বিব্রত করছে বলে মন্তব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের। তবে যাই ঘটুক না কেন, নিখোঁজরা তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সংস্কার করা কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।এদিন ক্র্যাবের কার্যালয়টির উদ্বোধন ও সংগঠনটির সদস্যদের পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রতি মাসেই রাজধানী থেকে কোনও না কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী কাজ করছে। আশা করি, তাদের ফিরিয়ে দিতে পারবো। আমি সবসময় বলি, মিসিং হওয়ার পেছনে কিছু কারণ থাকে। অনেকে ইচ্ছা করে মিসিং হয়ে যাচ্ছে বা আত্মগোপনে গিয়ে আমাদের বিব্রত করছে। এ ধরনের মিসিংয়ের সুরাহা করা গোয়েন্দাদের জন্য একটু কষ্টকর। তারপরও আশা করি, তাদের ফিরিয়ে আনতে পারবো।নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের নিখোঁজের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সম্পূর্ণ খবর আমার কাছে নেই। তবে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেবো। একজন লোক মিসিং হয়ে যাবে আর আমাদের আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনী বসে থাকবে এটা হতে পারে না। অবশ্যই আমরা দেখবো কেন ও কিভাবে মিসিং হয়েছে।মন্ত্রী উল্লেখ করেন, সম্প্রতি লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ডের সঙ্গে আরও একজন গ্রেফতারে এই হত্যা মামলার অগ্রগতি হয়েছে। তার ভাষ্য, ‘অভিজিৎ হত্যার বিষয়ে অনেকটাই জানতে পেরেছি আমরা। আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছেন। আরও একজন মূল আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা অনেক তথ্য দিচ্ছে। সেগুলো আপনাদের ধারাবাহিকভাবে জানাবেন আমাদের গোয়েন্দারা।পুলিশ সদস্যদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারাই অনিয়ম করছে, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। সে যেই হোক, পুলিশ হোক বা নিরাপত্তা বাহিনীর; কেউই ছাড় পাচ্ছে না।এর আগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কনফারেন্স রুমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার কথায়, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুটি যেভাবে আপনারা তুলে ধরেছেন, সেজন্যই বিশ্ব জানতে পেরেছে। বাংলাদেশের মানুষ মানবতার মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সবাই মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি দিয়েছে।সুন্দরবনে জলদস্যুদের প্রতিরোধেও একজন সাংবাদিকের ভূয়সী প্রশংসা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা যে উপকার করেন তাতে সাধুবাদ দিলে বা প্রশংসা করলেই শেষ হবে না। আপনারা কাজ করছেন বলেই সবকিছু সহজ হয়ে যাচ্ছে। আপনাদের ত্যাগ, উপকার সবাই মনে রাখে ও স্বীকার করে। আপনাদের মানুষ সম্মান করে।