বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন দুই ক্যারিবিয়ান। প্রথম ইনিংসে কার্লস ব্রাফেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাণ্ডব চালান কাইরন পোলার্ড। তবে জয়টা শেষ পর্যন্ত পোলার্ডেরই হয়েছে। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটানসকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডাইনামাইটস। আর শেষ দিকে চাপে পড়া ঢাকার ইনিংসটাকে কাঁধে তুলে পার করেছেন জহুরুল হক অমি।

শেষ ওভারে দরকার ছিলো ৬ রান। এমন সময় খুলনা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ বোলিংয়ে আনেন কার্লস ব্রাফেটকে। অথচ এর আগে দুই ওভারে ২৯ রান দিয়েছিলেন এ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। শেষ ওভারে মোসাদ্দেক-জহুরুলকে চেপেই ধরেছিলেন তিনি। প্রথম দুই বল ডট দেয়ার পরেও শেষ পর্যন্ত এক বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা।

খুলনার ১৫৭ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। মাত্র ৪ রানে আবু জায়েদের বলে মাহমুদুল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন ওপেনার এভিন লুইসকে। দ্বিতীয় ওভারেই শহীদ আফ্রিদিকে (১) ফেরান শফিউল। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ ওভারে ক্যামেরন দেলপোর্ট এবং ওপেনার সুনীল নারিন ফেরার সময় ঢাকার স্কোর ছিলো ৫ উইকেটে ৪১ রান। জহুরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাকিব। তবে ২০ রান করে মাহমুদুল্লাহর শিকারে পরিণত হন ঢাকা দলপতি। এরপরই শুরু হয়ে পোলার্ড ঝড়। সপ্তম উইকেটে নেমে ৬ ছক্কা আর ৩ চারে ২৪ বলে ৫৫ রান করেন এ ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার। শেষ পর্যন্তু শফিউলের বলে ধীমান ঘোষের হাতে ক্যাচ দেন। পোলার্ডের পর ইনিংসের দায়িত্ব তুলে নেন জহুরুল। মোসাদ্দেকের সঙ্গে জুটি বেঁধে তুলে নেন ৪ উইকেটের জয়। জহুরুল ৪৫ এবং মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে খুলনাকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ের শুরুতে খুলনার রানের চাকা মন্থর ছিলো। সাকিব, আফ্রিদিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পরেও চাপ সামলে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন কার্লস ব্রাফেট। ৬ ছক্কা এবং ৪ বাউন্ডারিতে ২৯ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন এ ক্যারিবিয়ান।

এ জয়ে সিলেটকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেলো ঢাকা। চার ম্যাচে ৩ জয় এবং ১ হারে সাকিবদের পয়েন্ট ৬। এক ম্যাচ বেশি খেলে নাসির হোসেনদের পয়েন্টও সমান। তবে নেট রান রেটে পিছিয়ে আছে সিলেট।

স্কোর: খুলনা ১৫৬/৫ (রিলে রোশো ৩৪, ব্রাফেট ৬৪*; আবু হায়দার রনি ৪০/২, আফ্রিদি ২৩/১) ঢাকা ১৫৭/৬ (পোলার্ড ৫৫, জহুরুল ৪৫; শফিউল ২৪/২) ঢাকা ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা জহুরুল হক অমি।