২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে মামলা থেকে খালাস চেয়েছেন তার আইনজীবী।মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে যুক্তি উপস্থাপনকালে এ দাবি জানান আইনজীবী একেএম আখতার হোসেন। এ মামলায় তারেক রহমানসহ ১৮ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলছে।রাষ্ট্রের নিযুক্ত কৌঁসুলি আখতার সাংবাদিকদের বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার এজাহারে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম উল্লেখ নেই। এমনকি তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আদালতে তারেক রহমানের বেকসুর খালাস চাওয়া হয়েছে।এর আগে সোমবার আলোচিত এ মামলার অন্যতম আসামি তারেকের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আখতার।গত ১৭ জানুয়ারি মামলার আসামি মাওলানা আব্দুল হান্নান ওরফে সাব্বিরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মঈদুদ্দিন মিয়া।এদিন উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় তার ও অপর আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২২, ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।সে অনুযায়ী সোমবার তারেক রহমানের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী আখতার হোসেন। তারেকের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় মঙ্গলাবর দিন ধার্য করেন।আলোচিত এ মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আর ২০ জনের সাফাই সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।এতে দলের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়। হামলায় আহত হন কয়েকশ নেতাকর্মী। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।ঘটনার পরের দিন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।২০০৮ সালের ১১ জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির।২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।