২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন প্রধান বিচারপতিকে শপথ পড়ান। বঙ্গভবনের দরবার হলে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য, সাবেক প্রধান বিচারপতি, উচ্চ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ সরকারের পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শুক্রবার নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের আদেশে সই করেন।

এর পরপরই পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারক মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, যিনি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নিয়োগ পাওয়া সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বিএনপি সরকার আমলে ২০০৩ সালে হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারক হন। ২০১১ সালে তিনি আপিল বিভাগের বিচারক পদে উন্নীত হন।বিচারক হিসেবে কাজ শুরুর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করেছিলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তার চাকরি আছে আরও তিন বছর।বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞার পদত্যাগের পর আপিল বিভাগে এখন বিচারক হিসেবে বিচারপতি মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে আছেন বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এলএলবি ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮১ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। তার দুই বছর পর ওকালতি শুরু করেন হাই কোর্টে।নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি গঠিত দুটি সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে দু’টি কোর্স সম্পন্ন করা বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের ২২ ফ্রেব্র“য়ারি নিয়োগ পান অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। দুই বছর পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্র“য়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।গত বছরের ১০ নভেম্বর সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর থেকে পদটি শূন্য হয়ে যায়। এর আগে অক্টোবরে অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নেন তিনি। ওই সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা।