উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন চীন সফর করছেন বলে যে গুজব উঠেছে তা নিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সিউলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্ট ভবন বেইজিংয়ের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সব সম্ভাবনার জন্যই প্রস্তুত তারা। সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও উত্তর কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার লাভই হবে বলে দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লমবার্গ এক প্রতিবেদনে দাবি করে যে কিম জং উন চীন সফর করছেন। নাম প্রকাশ না করে তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি একথা জানায়। তাদের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করলেও সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের সম্ভাবনাময় বৈঠকের আগে এই সফরের গুজব উঠলো।

বেইজিং প্রথম থেকেই গোপনীয়তাপূর্ণ ও বিশ্ব সম্প্রদায় থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র। তবে কিম জং চীন সফর করলে আসন্ন সম্মেলনের জন্য সেটি ইতিবাচক হবে বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা।এদিকে সোমবার জাপানের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করে, উত্তর কোরিয়ার উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা ট্রেনে করে বেইজিং পৌঁছেছেন। রয়র্টার্সের একজন সাংবাদিক বেইজিংয়ের দিয়াওতাই অতিথিশালার দিকে একটি গাড়িবহর যেতে দেখেছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।উত্তর কোরিয়ার ওপর নজর রাখা এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাছে অনেক প্রমাণ আছে যার ফলে প্রতীয়মান হয় যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গেছেন কিম।

বেইজিংয়ের কর্মকর্তারাও বলেছেন, উত্তর কোরীয় একজন কর্মকর্তা চীনে রয়েছেন তবে নিশ্চিতভাবে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। প্রাত্যাহিক সংবাদ সম্মেলনেই কিম জংয়ের চীন সফর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, তিনি এ সম্পর্কে কিছু জানেন না। সোমবার বিকেলেও বেইজিংয়ে উত্তর কোরীয় দূতাবাস থেকে কেউ টেলিফোনে এ সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দেননি।এর আগে দ্বিতীয় কিম জংয়ের সফরের বিষয়টিও তার সফর শেষে নিশ্চিত করেছিল চীন ও উত্তর কোরিয়া। রাশিয়া সফরের সময়ও দ্বিতীয় কিম জং কঠোর নিরাপত্তায় ব্যক্তিগত ট্রেন ব্যবহার করেছিলেন। কূটনীতিক ও অন্যান্য সূত্র জানায়, নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি বিমান ভ্রমণ করতেন না। তবে তরুণ কিম জং উন সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন। আর তিনি বিমান ভ্রমণে ভয় পান না। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এর আগে তার বিমানে করে বিদেশ যাওয়ার ছবি প্রকাশ করেছিল। ২০১১ সালে পিতার মৃত্যুর পর ক্ষমতা গ্রহণ করেন কিম জং উন। তখন থেকে তার বিদেশ সফরের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।