পরিবেশগত ও অবস্থানগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও ইটিপি ব্যাতিত কারখানা পরিচালনা করে এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দূষিত তরল বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি পরিবেশে নির্গমন করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় সোমবার গাজীপুরের একটিসহ সাতটি জেলার ৭টি কারখানা এবং ২টি ইটভাটাসহ ৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট উইং।

পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মোজাহিদুর রহমান জানান, পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান ও পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট) পরিবেশ দূষণের দায়ে গাজীপুর, নরসিংদী, নাটোর, ঝিনাইদহ ও নারায়নগঞ্জ জেলার মোট ৭টি কারখানা এবং ঢাকা ও চাঁদপুর জেলার ২টি ইটভাটাসহ সর্বমোট ৯টি প্রতিষ্ঠাণের মালিক/প্রতিনিধিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা সদর দপ্তরে এনফোর্সমেন্ট উইংয়ে তলব করে শুনানী গ্রহণ করেন। শুনানী শেষে গাজীপুর জেলার দিগন্ত সোয়েটার কারখানাকে ১ লাখ ৭১ হাজার ৮২৫ টাকা, নাটোরের মেসার্স রশীদ অটো রাইস মিলকে ১১ লাখ টাকা, নারায়ণগঞ্জ জেলার বাংলাদেশ পেপার মিলসকে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৩৪৮ টাকা, রহিম স্টীল মিলকে ৭২ হাজার টাকা ও মীম এন্টারপ্রাইজকে ২০ হাজার টাকা, নরসিংদীর জিয়াংসু জিং ডিং স্টোরেজ কোম্পানীকে ১ লখ ২৫ হাজার টাকা ও ঝিনাইদহের সিথী ডাল মিলকে ১ লাখ টাকা এবং ঢাকার সাভারের মেসার্স ফিরোজ ব্রিকসকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ও চাঁদপুরের মেসার্স ইমাম ব্রিকস ম্যানুফ্যকচারিংকে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে কারখানা/আবাসিক প্রকল্পের আয়তন সম্প্রসারণ, পরিবেশগত ও অবস্থানগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও ইটিপি ব্যাতিত কারখানা/জেনারেটর স্থাপন ও পরিচালনা করে এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দূষিত/নির্ধারিত মানমাত্রা বহির্ভূত তরল বর্জ্য অপরিশোধিত অবস্থায় সরাসরি পরিবেশে নির্গমন করে জনজীবন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করায় এ ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়। এর আগে মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট টিম ওইসব কারখানা ও প্রতিষ্ঠাণসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন।