সদ্যসমাপ্ত এসএসসি পরীক্ষার ১৭টির মধ্যে ১২টি বিষয়ের এমসিকিউ অংশের খ সেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। প্রশ্নফাঁস নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে প্রশ্ন ফাঁস হলেও কোনো পরীক্ষা বাতিল করা হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার আগে ওই এমসিকিউ প্রশ্ন পেয়েছে পাঁচ হাজারের মত পরীক্ষার্থী। এ কারণে কোনো পরীক্ষা বাতিল করা হবে না।
মন্ত্রী জানান, সোশাল মিডিয়ায় ক্লোজড গ্রুপের মাধ্যমে পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগে এমসিকিউ প্রশ্ন ফাঁস হত বলে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে।এসব গ্র“পে ১০ থেকে ১০০ জনের মত সদস্য ছিল এবং ৪০ থেকে ৫০টি গ্রুপে প্রশ্ন শেয়ার হয়েছে ধরে নিয়ে তদন্ত কমিটি মনে করছে, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সব মিলিয়ে পাঁচ হাজারের মত পরীক্ষার্থীর হাতে গেছে।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৫ হাজার শিক্ষার্থীর কারণে ২০ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা পুনরায় নিয়ে তাদেরকে ভোগান্তিতে ফেলা সমীচীন হবে না বলে তদন্ত কমিটি মত দিয়েছে।এসএসসির সৃজনশীল অংশের কোনো প্রশ্ন ফাঁস না হওয়ায় পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না বলেও তদন্ত কমিটি যুক্তি দিয়েছে।গত ১ থেকে ২৫ ফেব্র“য়ারি এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তত্ত্বীয় এবং ২৬ ফেব্র“য়ারি থেকে ৪ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়। দেশের তিন হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে এবার ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
আগামী ৬ মে এ পর এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলে ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, উন্মুক্তভাবে কোনো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। ক্লোজ গ্র“পের মাধ্যমে নগণ্য সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর ২০ মিনিট আগে বা কাছাকাছি সময়ে প্রশ্ন পেয়েছে। এই ধরনের ক্লোজ গ্র“পের একেকটিতে ১০ থেকে ১০০ জনের মতো সদস্য রয়েছে। তবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়। ফলে ১৫-২০ মিনিটি আগে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটলেও এতে সামগ্রিকভাবে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশে মোট চার সেট প্রশ্ন থাকে। এমসিকিউ অংশের মোট নম্বর ৩০।