পার্বত্য চট্রগ্রামে একদিনে ৬ জনকে হত্যা করা আওয়ামী দুঃশাসনের এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র তৎপরতায় শক্তিমান চাকমাসহ ছয় জন নিহত এবং কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।এদিকে নরসিংদীর রায়পুরা বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এসব আওয়ামী দুঃশাসনের এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত।
শনিবার (৫ মে) দুপুরে বিএনপি’র নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন,শেখ হাসিনার দলীয় প্রশাসন যেমন অকর্মন্য তেমনি দুর্নীতিগ্রস্ত।সর্বত্রই ক্ষমতা, গুন্ডা ও মাস্তানদের দাপট। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস আর গুন্ডামিকে জীবনাচরণ ও কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।সরকারের জনসমর্থন কমে যাওয়ায় তারা বেআইনি অস্ত্র দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে দুর্বৃত্তদের মাথায় হাত রেখে দেশ চালাচ্ছে বলেই সারাদেশ খুনখারাপি বেড়ে গেছে।সরকারের অশান্তির আগুনে সারাদেশের মানুষ দগ্ধ হচ্ছে।এসব রক্তাক্ত ঘটনার জন্য সরকারই দায়ী।খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে দাবি করে রিজভী বলেন, এখনও তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। আমরা তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললেও সরকার ও কারাকর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাসহ তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে ইয়ার্কি-ঠাট্টা করছেন।দেশনেত্রীর প্রতি সরকারের আচরণ চরম মানবধিকার ও আইনের লঙ্ঘন।

বিএনপি’র এই নেতা আরও বলেন, আমরা খবর পেয়েছি স্যাঁতসেঁতে রুমে রাখায় খালেদা জিয়ার প্রায়ই জ্বরে ভুগছেন।একইসঙ্গে তার কাশিও হচ্ছে।গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রুহুল কবির রিজভী অবিলম্বে খালেদা জিয়ার পছন্দ অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানান।না হলে দেশবাসী আর বসে থাকবে না, নিজেদের দায়িত্ব নিজেরাই পালন করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রিজভী বলেন, সরকারের পায়ের তলা থেকে জনসমর্থন সরে গেছে ও তারা বেআইনি অস্ত্রকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে দুর্বৃত্তদের মাথায় হাত রেখে দেশ চালাচ্ছে বলেই সারাদেশ খুনখারাপীতে ভরে গেছে।গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে পুলিশ গণগ্রেফতার করে এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, খুলনা জেলা বিএনপি’র ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল হাসান রবিসহ ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইভাবে গাজীপুরেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হানা দিয়ে ধরপাকড়ের তান্ডব চালাচ্ছে পুলিশ।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, নির্বাহী সদস্য ড. মামুন আহমেদ, আবেদ রাজা, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।