বিএনপি কর্মীরা নির্বাচন সামনে রেখে ইস্যু তৈরির লক্ষ্যে বিনা উসকানিতে নয়া পল্টনে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক ঘণ্টার বেশি সময় পুলিশের সঙ্গে দলটির কর্মীদের সংঘর্ষের পর কাউন্টার টেররিজমের প্রধান মনিরুলের এ মন্তব্য আসে।তিনি বলেন, এ ঘটনায় মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসিসহ ১৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।সংঘর্ষ থিতিয়ে আসার পর ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল বলেন,বিনা উসকানিতে ইস্যু তৈরি করার জন্য এটা করেছে ওরা।

নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলেও বিএনপি নেতাকর্মীরা তা মানেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি।ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন পুলিশ সদস্য বলেন, বুধবার বেলা পৌনে ১টার দিকে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও নবীউল্লাহ নবীর কর্মী-সমর্থকরা মিছিল নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে আসার সময় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে গেলে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ করেন মনিরুল।

তিনি বলেন,দুজন রাজনৈতিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় হাজার হাজার নেতাকর্মী পার্টি অফিসের সামনে আসে। এ সময় রাস্তা বন্ধ হয়ে হয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের দুটি গাড়ি ও একটি ভ্যানে বিএনপিকর্মীরা হামলা করে এবং পরে দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানান তিনি।বিএনপি নেতাকর্মীদের সুশৃঙ্খলভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার অনুরোধ জানিয়ে মনিরুল বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রের কর্মচারী। পুলিশকে প্রতিপক্ষ ভাববেন না।দুপুরে এই সংঘর্ষের সময় কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুলের দিকে রাস্তার উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে বিকাল সোয়া ৩টার পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।