নির্বাচন কমিশন বিএনপির পক্ষে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিএনপির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা ক্রমাগতভাবে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ করছে- আমরা নাকি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছি। তারেক রহমান, যার ১০ বছর কারাদণ্ড হয়েছে, আরেকটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে, সে কীভাবে একটি দলের প্রার্থী ঠিক করে; নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার প্রশ্ন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তারেক রহমানের এই সাক্ষাৎকার নেওয়া বন্ধ না করে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল এই সাক্ষাৎকার গ্রহণ বন্ধ করা। এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে।

শনিবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে কবি ও মুক্তিযোদ্ধা ত্রিদিব দস্তিদারের ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এই নির্বাচনের মধ্য ফয়সালা হবে- যে চেতনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেই হিন্দু-মুসলিম- বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবার আত্মত্যাগের বিনিময়ে চেতনা সমুন্নত থাকবে নাকি আবার আমরা পঁচাত্তরের পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই পরিস্থিতিতে ফিরে যাব।

তিনি আরও বলেন, কাগজে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম- নির্বাচনে যদি জয় তারা লাভ করে, তবে তারেক রহমান নাকি প্রধানমন্ত্রী হবে। ড. কামাল হোসেনের বিষয়ে শুনলাম, তাকে নাকি রাষ্ট্রপতি করা হবে। তারেক রহমানের মতো দুর্নীতিবাজ, ঘৃণিত এবং যার নেতৃত্বে ২১ শে আগস্টে গ্রেনেড হামলা হয়েছ, তারা তাকে যে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চায় তার আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি। কারণ তারেক রহমান বিএনপির সব মনোনয়ন প্রত্যাশীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন স্কাইপসহ নানারকম অ্যাপস এর মাধ্যমে। আজকের কাগজও দেখতে পেলাম মনোনয়ন ফাইনাল করবেন নাকি তারেক রহমান। এর অর্থ তাদের নেতা হচ্ছে তারেক রহমান। ড. কামাল হোসেন সাহেবের নেতাও এখন তারেক রহমান। কারণ সিদ্ধান্ত তো ড. কামাল হোসেন দিতে পারেন না। সিদ্ধান্ত দেন তারেক রহমান।তিনি আরও বলেন, এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মওদুদ আহমেদ সাহেব গতকাল বললেন যে, নির্বাচন থেকেই নাকি আওয়ামী লীগ সরে দাঁড়াতে চায়। আসলেই একথা বলার মাধ্যমে মওদুদ সাহেব বলে ফেলেছেন যে, তাদেরও চিন্তাভাবনা আছে নির্বাচন থেকে পালানোর। এবং তারা নির্বাচনি মাঠে নেমে বুঝতে পেরেছেন মাঠ তাদের অনুকূলে নাই। এটা বুঝতে পেরেই এখন নির্বাচন থেকে পালাতে চান কিনা এটাই হচ্ছে বড় বিষয়। আমি তাদের অনুরোধ জানাব, দয়া করে আপনারা নির্বাচন থেকেও পালাবেন না।আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, মোল্লা জালাল, চিত্রনায়িকা ফারহানা আমীন নতুন, অরুনা বিশ্বাস, কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ সহ আরও অনেকে।