নির্বাচন কমিশনকে ঠুঁটো জগন্নাথ আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এদের অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। তাই এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। তাই মানুষের মুখেও কোনো হাসি নেই। নির্বাচনের মাঠই নেই, সেখানে মাঠ সমান হবে কী করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।শনিবার দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুর ফাইভ স্টার মাঠে রংপুর বিভাগে প্রচারণার অংশ হিসেবে নির্বাচনী জনসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা কোনো দলের নন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তাই কোনো দলের হয়ে কাজ না করে ৩০ ডিসেম্বর মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করা আপনাদের দায়িত্ব।মির্জা ফখরুল বলেন, ৯২ হাজার মামলা আর ২৫ লাখ নেতাকর্মী ও সমর্থককে আসামি করা নজিরবিহীন ঘটনা। এমন ঘটনার পরও বলা হচ্ছে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে।

বরং বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার অনেক চক্রান্ত ও ছলচাতুরি করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, আজকে সারা দেশে যখন ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে, তখন মামলা-হামলা যত রকমের আছে এবং আদালতকে ব্যবহার করে দিয়ে ধানের শীষের লোকদের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। অনেক চক্রান্ত করছে, অনেক রকম ছলচাতুরি। আর মুহূর্তে মুহূর্তে মামলা-হামলা, গ্রেপ্তার তো আছেই। আমরা সেগুলো পার হয়ে, সেগুলোকে উপেক্ষা করে এই পর্যন্ত এসেছি। ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল, বিএনপি সবাই মিলে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করব।

বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শেষ পর্যন্ত ভোটে লড়বে বলে জানান ফখরুল। বলেন, আদালত আর পুলিশ ছাড়া আওয়ামী লীগের কিছু নেই।এ সময় ভোট দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্র পাহারা দিতেও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্টের ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই না, বরং গণতন্ত্রের লড়াই। বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দলসহ জনগণ মিলে এই লড়াই করবে বলে জানান তিনি।সৈয়দপুর বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর সরকারের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার।